Calcutta High Court

অবসরের পাঁচ বছর পরেও পদে বহাল! পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট

অবসর হয়ে গেলেও পাঁচ বছর ধরে পদে বহাল। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে কড়া পদক্ষেপ নেবে কলকাতা হাই কোর্ট।

পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা।
এখন কলকাতা ডেস্ক: কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

অবসরের হয়ে গেছে তাও তিনি পদে বহাল। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। অভিযোগ, অবসরের পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি পদে রয়ে গিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই রেজিস্ট্রারকে পদ ছাড়তে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি জানিয়েছেন, “৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে তিনি পদত্যাগ না-করলে পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হবে।” পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া কী ভাবে তিনি এত বছর পদে থেকে গেলেন, সে নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট।? 

২০১৯ সালের ১ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে মানস চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, কিন্তু তার পরেও তিনি পদত্যাগ করেননি। বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী, সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও পদে থাকতে গেলে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমোদন দরকার হয়। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। রাজ্যের অনুমোদন ছাড়াই মানস পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেছেন। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি বেআইনি।? 

মেডিক্যাল কাউন্সিলের দুর্নীতি ও অব্যবস্থার অভিযোগের পাশাপাশি রেজিস্ট্রার পদে মানস চক্রবর্তীর দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যাল কাউন্সিলে নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। তার আগে কী ভাবে পদে মানস? প্রশ্ন তুলেছিলেন মামলাকারী। অভিযোগ, হাই কোর্টের একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও কাউন্সিলে স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। বেআইনি ভাবে পদ ধরে রেখেছেন রেজিস্ট্রার।? 

এ দিন রাজ্য আদালতকে জানায়, তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলেই নতুন রেজিস্ট্রারকে নিয়োগ করা হবে। রাজ্যের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “যদি রাজ্যের তাঁকে এতই পছন্দ হয়, তাহলে অবসরের মেয়াদ ৭০ বছর করে দিন। এই ধরনের পদ কোনোমতেই খালি রাখা যায় না। তাই একজনের অবসরের সময় এগিয়ে এলে তার আগে থেকেই সেই পদে অন্য কাউকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। আপনারা সেটা কেন করেননি।” সেটা না করে কেন বারবার একই ব্যক্তিকে পদে বহাল কেন রাখা হচ্ছিল বলে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেই মামলাতেই তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।? 


Share