IndiGo Flight Crisis

সাত দিনেও স্বাভাবিক নয় ইন্ডিগো বিমান পরিষেবা, ফের বাতিল শতাধিক ফ্লাইট, দুর্ভোগে অব‍্যাহত

ডিজিসিএ-র নতুন ডিউটি টাইম বিধিতে কর্মী সংকটে ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবা সাত দিনেও স্বাভাবিক নয়। সোমবারও ৩০০-র বেশি ফ্লাইট বাতিল। যাত্রীদের ক্ষতিপূরণে ফেরত দেওয়া হয়েছে ৬১০ কোটি টাকা, তদন্তে শো-কজ নোটিস জারি।

ইন্ডিগো বিমান
নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লি
  • শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৩

টানা ছ’দিন যাত্রী ভোগান্তির পরও ইন্ডিগোর বিমানের পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। সোমবারও সংস্থাটি ৩০০-র বেশি উড়ান বাতিল করেছে। সকাল সাড়ে ন'টা পর্যন্ত বাতিলের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৬০।

দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই বাতিল হয়েছে ১৩৪টি উড়ান, এর মধ্যে ৫৯টি অবতরণ এবং ৭৫টি উড্ডয়নের কথা ছিল। বেঙ্গালুরুতে ১২৭, চেন্নাইয়ে ৭১ এবং আহমদাবাদে ২০টি ইন্ডিগো উড়ান বাতিল হয়েছে। কলকাতা, মুম্বই, বিশাখাপত্তনম সহ আরও কয়েকটি বিমানবন্দর থেকেও একাধিক উড়ান বাতিল হয়েছে।

রবিবারই বাতিল হয়েছিল ৬৫০টি ফ্লাইট। ইন্ডিগো জানায়, সেদিন তাদের ১,৬৫০টি উড়ান নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলেছে। প্রতি দিন গড়ে ২,৩০০টি উড়ান পরিচালনা করে সংস্থাটি। শুক্রবার মাত্র ৭০৬টি উড়ান সচল থাকলেও রবিবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ১,৬৫০।

বিমান বাতিলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের রবিবার রাত আট'টার মধ্যে সম্পূর্ণ টিকিট মূল্য ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছিল অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। মন্ত্রকের দাবি, ইতিমধ্যেই ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে ইন্ডিগো। ফেরত প্রক্রিয়া এখনও চলছে। ৩,০০০-রও বেশি লাগেজও যাত্রীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চলমান বিশৃঙ্খলার জেরে শনিবার ইন্ডিগোকে শো-কজ নোটিস পাঠায় ডিজিসিএ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ইন্ডিগো এক দিনের অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন জানায়, যা মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ছ'টার মধ্যে লিখিত জবাব জমা দিতে হবে সংস্থাটিকে।

সমস্ত সমস্যার মূলেই রয়েছে ডিজিসিএ-র নতুন ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ বিধি, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হলেও ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। কর্মী ও পাইলটদের কাজের সময় নির্ধারণ-বিধি কঠোর হওয়ায় ইন্ডিগোর জন্য স্বাভাবিক পরিষেবা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ অন্যান্য সংস্থার তুলনায় কম খরচে পরিষেবা দেওয়ার জন্য ইন্ডিগোর অনেক উড়ান রাতেই পরিচালিত হয়। নতুন বিধি অনুযায়ী এই সময়সূচি মেনে চলার মতো পর্যাপ্ত পাইলট ও কর্মী তাদের নেই। ফলে তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং তার ফলেই যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে।


Share