Kolkata Municipal Corporation

কলকাতা কর্পোরেশনের ডিসপেন্সারিতে ফর্ম ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ, কর্মীকে শো-কজ করার নির্দেশ মেয়র ফিরহাদের

পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা পিনাকী গুপ্ত অভিযোগটি দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সেই ফর্মটি ফিলাপ করে তিনি জমা দিলে সেই ফর্মটি নেওয়া হয় না। উল্টে অজ্ঞাত পরিচয় এক কর্মী সে ফর্মটি ছিঁড়ে ফেলেন।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৭

কলকাতা পুরসভা তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ওয়ার্ড সম্পর্কিত প্রতিক্রিয়া নেওয়া হবে। সেইমতো প্রত্যেক ওয়ার্ডের ডিসপেন্সারি থেকে ফর্ম দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই ফর্ম জমা দিতে গিয়েই তা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ শুনেই অভিযুক্ত পুরকর্মী বিরুদ্ধে শো-কজ করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

শুক্রবার পুরসভার আয়োজিত 'টক টু মেয়রে' অনুষ্ঠানে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা পিনাকী গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি ফোন করেন। পিনাকীবাবু নিজেকে পেশায় একজন চিকিৎসক বলে দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাঁকে ওয়ার্ডে কেমন পরিষেবা মিলছে, কী পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না, কোথায় খামতি রয়েছে, তা ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম দেওয়া হয়। শুক্রবার সেই ফর্মটি ফিলাপ করে তিনি জমা দিলে সেই ফর্মটি পুরকর্মী নেননি। উল্টে ওই কর্মী ফর্মটি ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, কর্মী বলেন, ‘আমি যা বলছি তাই লিখুন।’

এই অভিযোগ শুনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন। বোরো পাঁচের স্বাস্থ্য এক্সিকিউটিভকে তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন, তিনি যেন সেই পুরকর্মীকে খুঁজে বের করে। পাশাপাশি, মেয়রের ওই পুরকর্মীকে শো-কজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্গে তিনি এও বলেন, "মানুষের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষুণি ব‍্যবস্থা নিয়ে শো-কজ করতে হবে।" অতঃপর মেয়র পিনাকী গুপ্তর কাছে ক্ষমা চান।

মেয়রের দাবি, “কলকাতা পুরসভায় অনেক মানুষ কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এরকম ব‍্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তাঁদেরকে সংযত থাকতে হবে। মেজাজ হারালে চলবে না।” তাঁর কথায়, সবাই সমান হবে এমন তো নয়। সবাই ভালো ব‍্যবহার করবে তা-ও নয়। সেই জন্যই আইন করা হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী ওই পুরকর্মীকে শো-কজ করার নির্দেশ দিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডটি বিজেপি জিতেছে। বিজেপি অভিযোগ, তৃণমূল সেখানে জিততে পারেনি বলে ওয়ার্ডের সমস্যা বলা যাবে না। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।


Share