Balrampur Case

জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের জামালউদ্দিনের মামলায় গ্রেফতার ব‍্যারাকপুর আদালতের এক কর্মী-সহ দু’জন

ধৃতদের নাম হাসান আলি এবং মহম্মদ ইব্রাহিম। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে।
ইন্দ্রজিৎ মল্লিক: ব্যারাকপুর
  • শেষ আপডেট:১৭ জুলাই ২০২৫ ১০:০৬

ইসলামে ধর্মান্তরকরণের জন্য বিদেশ থেকে এসেছে অর্থ। অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে ‘ছাঙ্গুর বাবা’ ওরফে জামালউদ্দিনকে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ বার সেই যোগসূত্র পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গেও। নারী পাচার এবং ইসলামে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে ব্যারাকপুর এবং কলকাতা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ধৃত দুই যুবকের নাম হাসান আলি ওরফে শেখর রায় এবং মহম্মদ ইব্রাহিম ওরফে ঋথ বণিক। জানা গিয়েছে, হাসান বারাকপুর আদালতের কর্মী এবং ইব্রাহিম বেসরকারি সংস্থার কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, ধৃত দু’জনের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে ‘ছাঙ্গুর বাবা’ ওরফে জামালউদ্দিনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এ দিন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আদালতে জানায়, হাসান এবং ইব্রাহিম হিন্দু পুরুষ এবং মহিলাদের ভয় দেখিয়ে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করত। তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, যে বা যারা তাদের কথা নাকচ করত তাদেরকে শারিরীক নির্যাতনও করা হত। সুত্রের খবর, অভিযুক্ত দুই যুবক অনেকদিন আগেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তার পরেও হিন্দু নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিত।

জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে ‘ছাঙ্গুর বাবা’ ধরা পড়লে হাসান এবং ইব্রাহিম বেগতিক দেখে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আসে। এ রাজ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ টানা তিন দিন বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। আদালত সূত্রের খবর, হাসানকে ব্যারাকপুরের মনিরামপুর থেকে এবং মহম্মদ ইব্রাহিমকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন আদালতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানায়। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেছে। তাদের আগ্রার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই অভিযুক্তদের জেরা করবে তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এটিএস ‘ইসলাম ধর্মান্তরকরণ চক্র’ ফাঁস করেছে। এই চক্রের মূল পাণ্ডা জামালউদ্দিন ওরফে ‘ছাঙ্গুর বাবা’ এবং তার স্ত্রীকে সেই রাজ্যের গোস্বামীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, জামালউদ্দিনের নেতৃত্বে সারা দেশে সংগঠিতভাবে ইসলামে ধর্মান্তরকরণের চক্র চলছিল। তদন্তকারীদের দাবি, সেই কর্মকাণ্ড সফল করতে ৪০টি অ‍্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যাতে ১০০ কোটি টাকার বেশি বিদেশি অনুদান ঢুকছে। তদন্তে যোগ দিয়েছে এনআইএ এবং ইডি।

তদন্তের নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই চক্র নাবালকদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করত। নারীদের ধর্মান্তর করাতে মুসলিম পুরুষদের টাকা মোটা অঙ্কের দেওয়া হত বলে অভিযোগ। ওই মুসলিম পুরুষেরা নিজেদের হিন্দু নাম ধারণ করে ভুয়ো পরিচয়ে হিন্দু নারীদের ফাঁদে ফেলত। পরে সেই নারীদের সঙ্গে জামালউদ্দিন মুসলিম নিয়ম অনুযায়ী ‘নিকাহ’ করাতেন। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, এই চক্রের সদস্যেরা প্রায় ৪০ বার ইসলামিক দেশগুলিতে ভ্রমণ করেছেন। এ বার সেই চক্রের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকার অভিযোগে এই রাজ্যের দু’জনের নাম জড়িয়ে গেল।


Share