Wife Was Allegedly Murdered By Husband

পারিবারিক অশান্তি জেরে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ! হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা, পলাতক অভিযুক্ত স্বামী

প্রতিবেশী এবং আত্মীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে বীরনগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজনেরা রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায় যান। সেখানে চিকিৎসকেরা সেলাইন দেন। চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাকে।

স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, তাহেরপুর
  • শেষ আপডেট:১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১০:১৫

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি। এর পরেই ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে পর পর কোপ! রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার নদিয়ার বীরনগরে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মৃত মহিলার বয়স আনুমানিক ৪৩ বছর। তারা বীরনগর লাইব্রেরী পাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরিবার সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। এ দিনও এমন কিছু হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন আচমকা একটি ছুরি দিয়ে স্বামী প্রাণকৃষ্ণ সাহা স্ত্রীর পেটে পর পর কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারের কেউ বা কারা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এর পরেই অভিযুক্ত স্বামী প্রাণকৃষ্ণ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

প্রতিবেশী এবং আত্মীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে বীরনগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজনেরা রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায় যান। সেখানে চিকিৎসকেরা সেলাইন দেন। চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাকে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন‍্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী প্রাণকৃষ্ণ সাহা। পরিবারের লোকজন স্বামী প্রাণকৃষ্ণের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে দু’জনের মধ্যে কী নিয়ে অশান্তি, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তাহেরপুর বীরনগর এলাকায়।


Share