Policeman Was Allegedly Beaten at Hospital Premises

ফের আক্রান্ত পুলিশ! ছিঁড়ল পুলিশকর্মীর উর্দি, শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত এগরা হাসপাতাল চত্বর

সুপার জানান, নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও প্রকার অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি লিখিত ভাবে জানানো যেতে পারে। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগপত্র নেওয়ার জন্য বাক্স রাখা আছে। সেই বাক্সে কেউ অভিযোগপত্র জমা দেয়নি।

গোলমাল থামাতে গিয়ে প্রহৃত পুলিশকর্মী।
নিজস্ব সংবাদদাতা, এগরা
  • শেষ আপডেট:১৫ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৩৬

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের পর এ বার এগরা মহকুমা হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে করে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিজনেরা হাসপাতালে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীর ওপর চড়াও হন। বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে এক পুলিশকর্মী আক্রান্ত হন।থামামারধর পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ। উর্দিও ছিড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এগরা থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন সাতেক আগে আলংগিরির বাসিন্দা তপন প্রধান নামে এক ব্যক্তি তার দু’মাসের শিশুপুত্রকে এগরা মহকুমা হাসপাতালের ভর্তি করান। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, " আমার বাচ্চার জ্বর হয়েছিল। সাত দিন চিকিৎসা করার পর আজ ও মরে গেল।" তাদের অভিযোগ, "ভালো করে চিকিৎসা করা হয়নি। এমনকি সমস্যার কথা বলতে গেলে হাসপাতালে তরফে আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।" 

শিশুর মায়ের দাবি, "বাচ্চাকে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলেও ওরা ছাড়েনি। বাচ্চার মরে যাওয়ার পর সিকিউরিটি গার্ড বলল, একটা বাচ্চা মরে গেলে আর একটা আসবে। এই কারণেই ওর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে।" হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা দাবি করেন, "শুধু ওনার সঙ্গেই নয় এর আগেও অনেক মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন এরা।" 

স্থানীয় এক যুবকের অভিযোগ, "হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। শিশুটির বাবাকে ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দু’পক্ষই উত্তেজিত হয়ে পড়ায় এই অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।” তার আরও অভিযোগ, “ওই হাসপাতালের নার্সদের ব‍্যবহারও অত্যন্ত খারাপ। হাসপাতালে সুপারকে অভিযোগ জানাতে গেলে ওরা সুপারের সঙ্গেও দেখা করতে দেয় না।"

হাসপাতাল চত্বরে অশান্তির ঘটনায় হাসপাতালের সুপার সমীর আচার্য বলেন, ‘‘হাসপাতালে শিশুটিকে খুব খারাপ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তার কী কী চিকিৎসা হয়েছিল, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এই বিষয়ে সমস্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে পাঠাব।” তবে এই শিশুমৃত্যুর ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া বলেও জানিয়েছেন তিনি। সুপারের কথায়, “লিখিত অভিযোগ এলে আমরা পদক্ষেপ করব।’’ 

সুপার আরও জানান, নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও প্রকার অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি লিখিত ভাবে জানানো যেতে পারে। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগপত্র নেওয়ার জন্য বাক্স রাখা আছে। সেই বাক্সে কেউ অভিযোগপত্র জমা দেয়নি।


Share