Trinamool Leader Accused of Molestation

খানাকুলে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর, ভর্তি হাসপাতালে

রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতিকে। নাবালিকাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ। ঘটনায় ফেটে পড়ে তীব্র জনরোষ। বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করেছে তৃণমূল।

আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম বরুন মন্ডল।
নিজস্ব সংবাদদাতা, খানাকুল
  • শেষ আপডেট:০৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৫:০১

তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির খানাকুলে। রাস্তার মধ্যেই জনরোষের শিকার হল ওই তৃণমূল নেতা। সবটাই বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করেছে তৃণমূল। আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম বরুন মণ্ডল। বরুন ওই অঞ্চলের তৃণমূলের সহ-সভাপতি। স্থানীয় সুত্রের খবর, শুক্রবার রাতে খানাকুলের মারখানা বাজার এলাকায় রাস্তায় কিছু ছাত্রী জন্মদিন পালন করছিল। সেই সময় বরুন এবং তার দলবল নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। এর পরেই তাকে এলাকাবাসীরা রাস্তায় ফেলে কিল, চড় এমনকি বাঁশ দিয়ে মারধর করা বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাবালিকাকে শ্লীলতাহানী করেছে ওই তৃণমূল নেতা। তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী বলেন, “আমি খবর পেয়ে সেখানে যাই। দেখি, আধমরা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।” তার স্ত্রীও স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেন, “তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে শাসক শিবির। ওই তৃণমূল নেতা বলেন, “বিজেপি বিধায়ক নিজের স্বার্থ কায়েম করার জন্য এ সব করছে। খানাকুলের মাঠ খালি দেখে তৃণমূল কর্মীদের মারছে। আমরা এখন উৎসবে মেতে রয়েছি। দুর্গাপুজো শেষ হোক। ইটের জবাব পাটকেলেই দেওয়া হবে।”

এই বিষয়ে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এ দিন কিছু ছাত্রী জন্মদিন পালন করার উদ্দেশে ওখানে উপস্থিত হয়েছিল। তাদের ওপর চড়াও হয় বরুন বিশ্বাস ও তার দলবল। অত্যাচার করে। আমি তিন-তিনবার থানার আইসিকে ফোন করি। তিনি ফোন তললেননি। নারীরা নির্যাতিত হলে ফোন তোলেন না তিনি।” বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 

ঘটনায় পরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, উভয়ই উভয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।


Share