Pakistani Woman in The Voter List

নৈহাটির ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে ‘পাকিস্তানি’ মহিলার নাম! অভিযোগ অর্জুন সিংহের, ভিসার মেয়াদ শেষের পরেও কেন নেওয়া হল না পদক্ষেপ, উঠছে প্রশ্ন

স্ত্রী যে পাকিস্তানের নাগরিক, সেটা স্বীকার করেছেন স্বামী মহম্মদ ইমরানও। তার কথায়, দফায় দফায় ভিসা পেয়ে তার স্ত্রী ভারতে ছিল। তবে শেষ বার ভিসা আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে সালেহার।

নিজস্ব চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, নৈহাটি
  • শেষ আপডেট:১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১২:১৬

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)- এর কাজ শুরু হবে। সেই আবহেই উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি বিধানসভার ভোটার তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকের! বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ এবং বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। এমনকি ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। তাহলে কী ভাবে সে বসবাস করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন বিজেপি নেতা।

নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরীপুর এটি ঘোষ লেনের বাসিন্দা মহম্মদ ইমরান। তাঁর স্ত্রীর নাম সালেহা খাতুন। অর্জুন সিংহের অভিযোগ, সালেহা পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসেছিল। তার পরে এখানকার ভোটার কার্ড তৈরি করে নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার অর্জুন বলেন, “এসআইআর নিয়ে চমকানি-ধমকানি চলছে। এ দিকেও এমন হচ্ছে। ও পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে এসেছিল। এখানে এসে ভারতীয় হয়ে গিয়েছে।”

এ দিন নথি নিয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ দেখিয়েছেন, নৈহাটি বিধানসভার ভোটার লিস্টের ১১৫ নম্বর অংশে রয়েছে সালেহা খাতুন ইমরানের নাম। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে। যদিও বিধায়কের দাবি, ১৯৯১ সালে মহম্মদ ইমরানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সালেহার। তাঁর কথায়, ইমরান দুবাইয়ে ছিলেন। সেই সময়ে কোনও ভাবে সালেহার সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পরে তারা দু’জনে বিয়ে করেন। ওই দম্পতি গত ২৮ বছর ধরে নৈহাটিতে রয়েছেন বলে সনৎ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভোটার লিস্টে কী ভাবে নাম উঠল সেটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। তারাই ভোটার তালিকা তৈরি করে।”

স্ত্রী যে পাকিস্তানের নাগরিক, সেটা স্বীকার করেছেন স্বামী মহম্মদ ইমরানও। তার কথায়, দফায় দফায় ভিসা পেয়ে তার স্ত্রী ভারতে ছিল। তবে শেষ বার ভিসা আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে সালেহার। যদিও স্ত্রীকে সংবাদমাধ্যমের সামনে আনতে রাজি হয়নি মহম্মদ ইমরান।

এই ঘটনা সামনে আসা মাত্রই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পাকিস্তানের কোনও নাগরিক বিবাহসূত্রে যদি ভারতে থাকেন, তাহলে তার নাম কী ভাবে ভোটার তালিকায় উঠল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন‍্যদিকে ভিসার আবেদন খারিজ হওয়ার পরেও কী ভাবে পাকিস্তানের নাগরিক ভারতে থাকতে পারেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। সেই বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ব‍্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ এবং বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।


Share