Police Arrested One In Alleged Cheating Case

মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ, নিউ টাউন থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত, উদ্ধার নগদ টাকা এবং সোনার মুদ্রা

লালবাজার সুত্রের খবর, সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। এর আগে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার হাতেও গ্রেফতার হয়েছিল। তবে কী অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল তা স্পষ্ট করেনি লালবাজার। এই মামলার তদন্ত করছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা (এআরএস)।

ধৃতের নাম সৌরভ চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৫৪

মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে এক ব‍্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। তাকে নিউ টাউনের একটি আবাসন থেকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের সাইবার অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা। তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সোনা এবং রূপোর মুদ্রা, লক্ষাধিক টাকা নগদ-সহ একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ধৃতের নাম সৌরভ চট্টপাধ‍্যায় (৪৯)। অভিযোগ, সৌরভ নিজেকে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পরিচয় দিত। নিজের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইলের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো এবং সরকারি অশোকস্তম্ভ ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রতারণার উদ্দেশ্যেই অভিযুক্ত তা ব্যবহার করেছিল। এসব দেখিয়ে সরকারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করত। সেই কাজ পাইয়ে দিতে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত। এমনকি সেই ব‍্যক্তি যদি দাবি মতো টাকা দিতেন, তাহলে হুমকিও দিত সৌরভ। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, প্রতারণা করে কয়েক জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

তার পরেই সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে সল্টলেকের একাধিক জায়গায় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার রাত ন’টা নাগাদ টেকনো সিটি থানা এলাকার একটি আবাসনের ২৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে সাত লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি, দশ গ্রামের ১৪টি সোনার মুদ্রা, ৪০টি রূপোর মুদ্রা, পাঁচটি সোনার গয়না, ১২টি মোবাইল ফোন, ১৪টি হাতঘড়ি এবং ন’টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের চেক বই-সহ লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

লালবাজার সুত্রের খবর, সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। এর আগে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার হাতেও গ্রেফতার হয়েছিল। তবে কী অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল তা স্পষ্ট করেনি লালবাজার। এই মামলার তদন্ত করছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা (এআরএস)।


Share