A Police Officer Was Allegedly Beaten By Some Miscreants

হাওড়ার আবাসনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব! কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিককে বেধড়ক মারধর, গ্রেফতার রেঁস্তোরার মালিক-সহ চার জন

মঙ্গলবার ভোরে হাওড়ার চ‍্যাটার্জিহাট খানা এলাকায় এসএন গাঙ্গুলি রোডের একটি আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম কলকাতা পুলিশকর্মীর নাম অমিতকুমার সিংহ। তিনি বর্তমানে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।

হাওড়ায় আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের অফিসার।
নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া
  • শেষ আপডেট:৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২৩

হাওড়ার আবাসনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক অফিসারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই পুলিশকর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারধরের অভিযোগে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করা করেছে।

মঙ্গলবার ভোরে হাওড়ার চ‍্যাটার্জিহাট খানা এলাকায় এসএন গাঙ্গুলি রোডের একটি আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম কলকাতা পুলিশকর্মীর নাম অমিতকুমার সিংহ। তিনি বর্তমানে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ, তাকে মানস রায় নামে স্থানীয় রেস্তোরাঁর মালিক ১৫-১৪ জন বহিরাগত দুষ্কৃতী জুটিয়ে নিয়ে এসে মারধর করেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। 

আক্রান্তের পরিবার সূত্রের খবর, ওই আবাসনের একটি ঘরে মধ‍্যে রেঁস্তোরার মলিক মলয় রায় কিছু লোকজনকে এনে রেখেছে। তারা কারা, সেই সংক্রান্ত নথি চান ওই পুলিশকর্মী। অভিযোগ, এর পরেই বহিরাগত দুষ্কৃতী জুটিয়ে আবাসনে ঢুকে অমিতবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ইতিমধ্যেই একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ (এখন কলকাতা ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, হাতে লাঠি নিয়ে বেশ কয়েক জন যুবক আবাসনে ঢুকে কলকাতা পুলিশের কর্মী অমিত সিংহকে মারধর করছে। 

এর পরেই চ‍্যাটার্জিহাট থানার খুনের চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রেঁস্তোরার মালিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।

আক্রান্ত পুলিশ অফিসারের স্ত্রী বলেন, ‘‘মানস রায়ের রেস্তরাঁর কিছু কর্মচারী এই আবাসনে থাকে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের নাম-পরিচয়পত্র দিতে বলা হয়েছিল। সকালে তাঁদের থেকে পরিচয়পত্র চাওয়া হলে বচসা বাধে। তার পরেই বাইরে থেকে লোকজন এনে মানস রায় হামলা চালায়। আমাকেও মারধর করা হয়েছে।’’

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মানস রায়ের ভাইপো তুহিন রায়। তিনি বলেন, “আমাদের রেস্তরাঁর কর্মীদের ওই পুলিশ অফিসার মারধর করেছিলেন। তা নিয়েই বচসার সূত্রপাত হয়েছে।’’


Share