One Amoeba Case Found at Hooghly

কেরল-কলকাতার পর এ বার হুগলিতে দেখা মিলল অ্যামিবা সংক্রমনের, ‘সুস্থ আছি,’ বললেন শ্রীরামপুরের আক্রান্ত প্রৌঢ়

অ‍্যামিবা সংক্রমিত রোগীর নাম প্রবীর কর্মকার। বয়স ৫৬ বছর। তিনি হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। পেশায় জলের কলের মিস্ত্রি। তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতেই আছেন।

আক্রান্ত প্রৌঢ়ের নাম প্রবীর কর্মকার।
প্রীতম সাধুখাঁ, শ্রীরামপুর
  • শেষ আপডেট:২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৩৫

কেরলে অ‍্যামিবা সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। প্রাণ গিয়েছে বেশ কয়েক জনের। কলকাতাতেও অ‍্যামিবা সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। এ বার অ‍্যামিবার সংক্রমিত রোগীর সন্ধান মিলল হুগলির শ্রীরামপুরে। ওই প্রৌঢ় জলের কল সারানোর কাজ করতেন। গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে ওই প্রৌঢ় কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। যদিও তিনি বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

অ‍্যামিবা সংক্রমিত রোগীর নাম প্রবীর কর্মকার। তিনি হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। পেশায় জলের কলের মিস্ত্রি। জানা গিয়েছে, বছর ৫৬-র ওই প্রৌঢ় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পরিবার সূত্রের খবর, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা যায়, প্রবীরের অবস্থা এমন ছিল যে ঘনঘন জ্ঞান হারাতেন। হাঁটা চলার ক্ষমতা ছিল না। ছিল না কথা বলার ক্ষমতাও। 

এর পরে বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখান। তাতেও সুস্থ না হলে অবশেষে শিশু মঙ্গল হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ওই প্রৌঢ়কে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সুত্রের খবর, চিকিৎসকেরা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের নানা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এর পরে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, প্রৌঢ়ের মাথায় এককোষী অ্যামিবা বাসা বেধেছে। এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে। দু’মাস সেখানেই তার চিকিৎসা চলে। কলকাতা মেডিকেল কলেজে যথাযথ চিকিৎসার পরে কিছুটা সুস্থ হলে, তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।

পরিবার জানিয়েছে, প্রবীর কর্মকার শ্রীরামপুরের শেওড়াফুলি এলাকার একটি বাড়িতে কল সারানো এবং জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার কাজ করতেন। বর্তমানে শ্রীরামপুরের বাড়িতেই রয়েছেন প্রবীর কর্মকার। শারীরিক দুর্বলতা থাকলেও আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওই প্রৌঢ়ের কথায়, “সেই কথা জরিয়ে যেত। কোনও হুঁশ থাকত না।”

রবিবার প্রৌঢ়ের স্ত্রী পম্পা কর্মকার বলেন, “আমরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেনি।হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরাই বললেন, কোনও কারনে ওঁর মস্তিষ্কে অ্যামিবা আক্রমন করেছে। যে কারণেই শারীরিক এই অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি করার আগে একদমই বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। সেই অবস্থা থেকে এখন অনেকটাই ভালো আছেন। সবার সাথে কথা বলছেন। হাঁটাচলাও করছেন।” প্রবীর কর্মকারকে টাইম কলের জল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

সিপিএম শাসিত কেরলে অ‍্যামিবার সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। সেই রাজ‍্যে এখনও পর্যন্ত ৬৯ জনের অসুস্থতার খবর মিলেছে। তার মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন মারা গিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, কলকাতাতেও এমন রোগ নিয়ে ছ’জন আইএনকেতে ভর্তি হয়েছেন। তবে ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।


Share