পহেলগাঁওয়ে ইসলামি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ২৬ জন পর্যটক। তার পরেই পাকিস্তানি ভিসায় যে বা যারা ভারতে রয়েছে তাদের ফিরে যেতে বলেছিল কেন্দ্র। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও পাকিস্তানে ফিরে যাননি ফাতেমা বিবি। হুগলির চন্দননগর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত ফাতেমা বিবি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা।?
জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালে পর্যটন ভিসা নিয়ে বাবার সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন ফতেমা বিবি। ১৯৮২ সালে মুজফফর মল্লিক নামে চন্দননগরের এক বেকারি মালিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। যদিও পুলিশের খাতায় ভিসা নিয়ে ভারতে আসার এক বছর পরেই নিখোঁজ ছিলেন ফতেমা। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর ইসলামি জঙ্গিহানার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। যাঁরা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে রয়ে গিয়েছেন, তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে। এই আবহে শনিবার চন্দননগরের কুঠির মাঠের পাশে মসজিদের পিছনে মুজফফর মল্লিকের দোতলা বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ফতেমাকে।?
ফতেমার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, পাকিস্তানে তাঁদের কোনও আত্মীয় থাকেন না আর। সকলেই ভারতে রয়েছে। ফতেমার স্বামীর দাবি, হুগলির নালিকুলে স্ত্রীর পূর্বপুরুষের বাড়ি। সেখানেই জন্মেছেন ফতেমা। পরে কাজের সূত্রে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি চলে গিয়েছিলেন ফতেমার বাবা। তবে আশির দশকেই সে দেশের পাঠ চুকিয়ে ভারতে ফিরে আসেন সকলে। মুজফফরের বলেছে, ‘‘৬০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে স্ত্রীর। রোজ অনেকগুলো ওষুধ খেতে হয় ওকে। নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হয়। কিছু দিনের মধ্যে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। ওকে যেন ছেড়ে দেয় পুলিশ।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চন্দননগর কর্পোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। আধার, প্যান কার্ড আছে। ফতেমা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখনও সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।?
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ইসলামি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ২৬ জন পর্যটক। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় দেখে তাঁদের গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই জঙ্গি হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের মদত থাকায় কেন্দ্র একাধিক পদক্ষেপ করেছে। পাকিস্তানি ভিসায় যারা ভারতে এসেছেন, তাদের অবিলম্বে ফেরত যেতে।?