Bhaghpat Murder Case

বকাবকি করেছিলেন মৌলানা! প্রতিশোধ নিতে স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে মাথায় হাতুড়ি এবং ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন, বাগপত-কান্ডে আটক দুই মাদ্রাসার ছাত্র

শনিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ মসজিদে কয়েক জন নমাজ পড়তে আসে। সেই সময় তারা মসজিদের একটি কক্ষের বাইরে রক্ত ​​বেরোতে দেখে। পরে ঘরে ঢুকে তারা দেখতে পান, ৩০ বছর বয়সি ইমামের স্ত্রী ইসরানা ও তার দুই মেয়ে সুমাইয়া (২) এবং সোফিয়ার (৫) নিথর দেহ বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে।

মসজিদে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেরঠ
  • শেষ আপডেট:১৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৫:৩৭

পড়াশুনা করত না। শনিবার সকালে অবাধ‍্য দুই ছাত্রকে বকাবকি করেছিল মসজিদের মৌলানা। তাদের মারধরও করেছিলেন। সবার সামনে বকাবকি এবং মারধরের প্রতিশোধ নিতে সেই দিনই ইমামের স্ত্রী এবং তার দুই নাবালিকা মেয়েকে খুন করে তারা। পুলিশ সুত্রের খবর, তাদের তিন জনের মাথায় হাতুড়ি মেরে আঘাত করে। এর পরে ছুরির কোপ মারা হয়।

জেলা পুলিশের সুপার সুরজ রাই জানান, ‘দু’জন নাবালকের বয়স ১৪ এবং ১৫ বছর।’  পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার সকালে মৌলানা মহম্মদ ইব্রাহিমের মাদ্রাসায় দুই অভিযুক্ত পড়তে এসেছিল। পড়াশুনা ঠিকঠাক না করায় মৌলানা মহম্মদ ইব্রাহিম তাদের বকাবকি করে। শাস্তিও দেয় তাদের। তার পরেই মৌলানা মহম্মদ ইব্রাহিম আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি-র স্বাগত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সাহারানপুরে যায়। সেই সুযোগেকে কাজে লাগিয়ে দুই অভিযুক্ত ফের মসজিদে ফিরে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার সময় মসজিদের বাইরে সিসি ক্যামেরায় তাদের ইতিউতি ঘোরাফেরার ছবি ধরা পড়েছে।

ধৃতেরা অভিযুক্তেরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জেলা পুলিশের সুপার জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে অভিযুক্তেরা মসজিদে প্রবেশ করে। এর পরেই মৌলানার স্ত্রী ইসরানা এবং তার দুই মেয়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। তিন জনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরপর ছুরির কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়। খুন করতে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। 

শনিবার বাগপতের দোঘাট থানা এলাকার গাংনাউলি গ্রামের একটি মসজিদে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ মসজিদে কয়েক জন নমাজ পড়তে আসে। সেই সময় তারা মসজিদের একটি কক্ষের বাইরে রক্ত ​​বেরোতে দেখে। পরে ঘরে ঢুকে তারা দেখতে পান, ৩০ বছর বয়সি ইমামের স্ত্রী ইসরানা ও তার দুই মেয়ে সুমাইয়া (২) এবং সোফিয়ার (৫) নিথর দেহ বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে। এর পরেই খবর দেওয়া হয় থানায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। আসে ফরেন্সিকের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তারা। এর পরেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। তদন্তকারীদের তদন্ত করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে সংযম দেখিয়ে মাইক দিয়ে ঘোষণা বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করেন তারা। শেষমেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।


Share