Fire Crackers

হুগলিতে উদ্ধার ৪৫০ কেজি বেআইনি বাজি, গ্রেফতার দুই

হুগলির বেগমপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি ও বাজি তৈরির মশলা। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসডিপিও।

বেগমপুরে উদ্ধার বেআইনি বাজি।
এখন কলকাতা ডেস্ক
বেগমপুর -নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:০৫ মে ২০২৫ ১২:০০

হুগলির বেগমপুর থেকে উদ্ধার হল মজুত করে রাখা বেআইনি বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা। পুলিশের দাবি, ৪৫০ কেজি বেআইনি বাজি ও বিপুল পরিমান বাজি তৈরীর সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেআইনি বাজি তৈরির অভিযোগে চন্ডীতলা থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।? 

জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হুগলির চন্ডীতলার থানার বেগমপুরে পুলিশ অভিযান চালায়। বাড়িতে বেআইনি বাজি মজুত করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রাজু নাথ এবং গোবিন্দ অধিকারী। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের দাবি, বাজেয়াপ্ত করা বাজিগুলি বেআইনি। তার মধ্যে বেশ কিছু শব্দবাজিও রয়েছে। পাশাপাশি বাজি তৈরীর মশলাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, “৩৫০ কেজি তুবড়ি, রংমশাল ৩০ কেজি হাওয়াই রকেট ২৫ কেজি এবং চড়কি ৪৫ কেজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”? 

গত ৩১ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকা একটি বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে যায়। জানা যায়, ওই বাড়িতে বাজি তৈরি করা হত। সেই মর্মে মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণে বাজি তৈরির মশলা। সেই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল শিশু-সহ আট পরিবারের সদস্যের। অবৈধ ভাবে বাজি তৈরির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছিল। থানার সামনে এত বাজির মশলা কীভাবে মজুত করা হয়েছিল, সেই নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। ঢোলাহাটের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তার পর থেকে ফের তৎপর হয়েছে পুলিশ। এ দিন চণ্ডীতলার এসডিপিও তমাল সরকার জানান, “ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে।”? 


Share    

হাইলাইটস