বাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় গুরুতর ভাবে অগ্নিদগ্ধ হলেন একই পরিবারের চার জন সদস্য। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রেশ্বের থানার খলিশানিতে। জখম হয়েছেন রমেশ মান্না নামে চন্দননগরের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী এবং দুই মেয়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। জখমদের তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের প্রথমে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।?
জানা গিয়েছে, রমেশ মান্না নামে ওই মিষ্টি ব্যবসায়ীর বাড়ি চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে। এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ এলাকাবাসী রমেশের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান। তাঁরা সেখানে গিয়ে রমেশ মান্না, তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা মান্না, তাঁর দুই মেয়ে পৃথা এবং পর্ণাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। চার জনই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন।?
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলে খবর দেন। স্থানীয়েরা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।?
এ দিন এক স্থানীয় বাসিন্দা রমেন মান্না বলেন, “আচমকা মান্না বাড়িতে চিৎকার শুনে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি পরিবারের চার জন সদস্য আগুনে পুড়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা বলতে পারব না।”?
মেয়র জানান, “চার জনকে উদ্ধার করে প্রথমে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। কী করে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পরিবারের চার জনই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। কেউ কথা বলার মত অবস্থায় নেই। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।?