ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ বাতিলের দাবিতে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ। ভাঙা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। জ্বালানো হয়েছে বাস। বাদ যায়নি পুলিশের গাড়িও। সেই পরিস্থিতি কোনও মতেই আসছিল না নিয়ন্ত্রণে। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। আজ, শনিবার ভবানী ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই বললেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ সামিম। তিনি বলেন, “তিন ঘণ্টা ধরে পুলিশ সমস্ত পথ অনুসরণ করেছে। তা কার্যকরী না হওয়ায় চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। এতে দু’জন জখম হয়েছেন।”?
বেশ কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুতি-ধুলিয়ান-নিমতিতা-সমশেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। সেদিন ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ বাতিলের দাবিতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। বেশ কিছু ক্ষণ অবরোধ চলার পর অবরোধ তুলতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। এই নিয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, “অনেক ক্ষণ পুলিশ সংযত ছিল। অবরোধ সরাতে আমারা হস্তক্ষেপ করতেই পুলিশের ওপর উন্মত্ত জনতা আক্রমণ করে।”?
বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে পুলিশ। এডিজি আইনশৃঙ্খলা বলেন, “বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে আমাদের যা যা করনীয় আমরা তাই করি। হালকা থেকে অত্যধিক সব রকমের বল প্রয়োগ করে পুলিশ। লাঠিচার্জ করা হয়। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা আরও হিংস্র হয়ে ওঠে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাস জ্বলিয়ে দেওয়া হয়ে। ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বেশ কিছু দোকানে।”?
তিনি আরও বলেন, “পাবলিক বাস থেকে, সরকারি সম্পত্তি সবকিছুতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা এরকম চলার পরে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সুজার মোড়ে পুলিশ বাধ্য হয়ে চার রাউন্ড ফায়ারিং করে। তার মধ্যে ২ জনের আহত হওয়ার আমাদের কাছে খবর আছে। তাঁরা হাসপাতালে আছেন। ভাল আছেন এখন।”?
অন্যদিকে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বারাবার গুজবে কান না দেওয়ার কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় একই সুর জাভেদ শামিমের গলাতেও। বলছেন, “ভয়ঙ্করভাবে গুজব ছড়াতে থাকে। ভুল বোঝানো হচ্ছে। দুষ্কৃতী, সমাজবিরোধীরাই এটা করছেন।”?