A Man Suicide After Killing His Wife and Child

স্ত্রী এবং পুত্রের গলা করাত দিয়ে কেটে আত্মঘাতী স্বামী, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো পুলিশ, ভয়াবহ কাণ্ড বেলডাঙায়

সঞ্জীব বেলডাঙা থানার বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। মুর্শিদাবাদের মেডিকেল কলেজের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।

এআই ছবি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বেলডাঙা
  • শেষ আপডেট:০৮ অক্টোবর ২০২৫ ০২:৫৩

পড়ে রয়েছে স্ত্রী এবং পুত্রের রক্তাক্ত নিথর দেহ। ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। তার পাশেই সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে স্বামী। বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের নাম, সঞ্জীব হালদার (৪০), মৌসুমি হালদার (২৮) এবং রায়ান হালদার (৯)। পুলিশ তিন জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সঞ্জীব হালদার পেশায় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। সঞ্জীব বেলডাঙা থানার বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে সঞ্জীবের মা শৌচাগারে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর ছেলের ঘরের জানালা খোলা দেখতে পান। সেখানে চোখ পড়তেই চমকে ওঠেন প্রৌঢ়া। দেখেন, সিলিং ফ‍্যান থেকে ঝুলছে তার ছেলে। শুরু হয় চিৎকার। প্রৌঢ়ার চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা এসে ঘরের দরজা খুলে দেখেন সেখানে শুধু সঞ্জীব নয়, তার নাবালক ছেলে এবং স্ত্রীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ বেলডাঙা থানায় খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রী এবং নাবালক ছেলের করাত দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তার পর নিজে সিলিং ফ্যানে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেছে সঞ্জীব। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল সঞ্জীবের। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

তিন মৃত্যুর নেপথ্যে দাম্পত্য কলহ ছাড়া অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সঞ্জীবের মায়ের দাবি, বৌমার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। মুর্শিদাবাদের মেডিকেল কলেজের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।


Share