Job Scam

জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী এবং বাবার অ‍্যাকাউন্টে জমা পড়েছে নিয়োগ দুর্নীতির লক্ষ লক্ষ টাকা, ছ’দিনের ইডি হেফাজত মঞ্জুর আদালতের

এসএসসির নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করল ইডি। সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়।

আদালত থেকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:২৫ আগস্ট ২০২৫ ০৮:১৫

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁকে সোমবার বিচারভবনে পেশ করা হয়েছে। অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণ নিয়োগ দুর্নীতির লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের স্ত্রী এবং বাবার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন। এ ছাড়াও ইডি আদালতকে জানিয়েছে, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন না।

এ দিন ইডি আদালতকে জানায়, নিয়োগ দুর্নীতির ৪৬ লক্ষ টাকার বেশি তাঁর স্ত্রী টগর সাহা এবং বাবার অ‍্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। এবং সবটাই হয়েছে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। অভিযোগ, স্ত্রীর অ‍্যাকাউন্টে ২৬ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। বাকিটা জমা পড়েছে বাবার অ‍্যাকাউন্টে। আপাতত আট জনের থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। ইডি সূত্রের দাবি, এই আট জনই চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিল।

এ দিন জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী জাকির হোসেন আদালতকে জানান, “দেড় বছর ধরে এই মামলার অগ্রগতি কি? এই মামলায় সব অভিযুক্তেরা জামিন পেয়েছে। আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করার কী প্রয়োজন পড়ল।?” উত্তরে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, “গ্রেফতারির সব কারণ দেওয়া আছে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্ত্রী এবং বাবার অ্যাকাউন্ট নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে।” ইডির আরও অভিযোগ, “এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনও উত্তর দিতে পারেনি। উল্টে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছে। মোবাইল ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। আমরা সব কিছু সামনেই রেখেছি।”

এসএসসির নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সকাল থেকেই কলকাতা-সহ জেলার চার যায়গায় ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পৌঁছে যায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। ইডি সুত্রের দাবি, তদন্তকারীদের দেখে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। ধরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই বিষয়টিও ইডি আদালতকে জানায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী জাকির হোসেন। জাকির বলেন, “আমার মক্কেল একজন নির্বাচিত বিধায়ক। ইডি এমন দাবি করলে তার তো কিছু ভিডিয়ো আছে, সেগুলো কোথায়?”

যদিও আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, “আমি পালানোর চেষ্টা করিনি।” শনিবার বিচাররক দু’পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। ছ’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। আগামী শনিবার ফের তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।


Share