মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না। আজ, সোমবার ভবানী ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই জানিয়ে দিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ সামিম। তিনি বলেন যে ওই জেলায় অশান্তির ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তাঁরা যেই হোক না কেন তাঁদের কাউকেই ছাড়া হবে না।?
ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে অশান্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার একাধিক এলাকা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে জেলা শাসকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ডাকতে হয়। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর উন্মত্ত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। এ দিন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ সামিম বলেন, “গত ৩৬ ঘণ্টায় নতুন কোনও অশান্তির খবর আসেনি। তবে রাজ্য পুলিশের দাবি, সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে মূল স্রোতের ফিরছে চাইছে মানুষ।”?
মুর্শিদাবাদের সাজুরমোড়, ধুলিয়ান এবং সুতিতে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য পুলিশ আগে ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এ বার সেই গ্রেফতারির সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এ ব্যাপারে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ সামিম বলেন, “ইতিমধ্যেই আমার ২০০-র বেশি গ্রেফতার করেছি। প্রচুর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে। আগামীদিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।” তাঁর কথায়, “বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। মানুষ ভয় পেয়ে রয়েছে। এই ভয়টা কেটে গেলেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ নেওয়া হবে। ভয় কাটানোর জন্য আমরা I আমার মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। যারা ভয়ে পেয়ে বাড়ি ছেড়ে নদীর ওপারে মালদায় পালিয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।”?
এ দিন জাভেদ বলেন, “বেশ কিছু মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জনকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ।” তিনি এটাও বলেন যে আগামীদিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।” পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, যে দু’জনকে কুপিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল, তাতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। এই অশান্তির ঘটনার পিছনে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এ দিন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “যারা দোষী বা যারা দোষ করেছে তারা কাউকে ছাড়া হবে না। তাঁদের খুঁজে বের করতে যদি আমাদের পাতাল যেতে হয় তাহলেও সেখানে আমরা যাব।” তিনি আরও বলেন, “যারা অশান্তিতে প্ররোচনা দিয়েছে তাঁদের পরিচয় যাই হোক না কেন, তারা রাজনীতিবিদ হতে পারেন, এনজিও হতে পারে, আমরা তাদের ধরবই।”?