TMC Leader Injured

কোন্নগরে তৃণমূল নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি কলকাতার হাসপাতালে

বুধবার সন্ধ্যায় কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম তৃণমূল নেতার নাম পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জখম তৃণমূল নেতার নাম পিন্টু চক্রবর্তী।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কোন্নগর
  • শেষ আপডেট:৩০ জুলাই ২০২৫ ০৯:০০

ফের আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। এ বার হুগলির কোন্নগরের কানাইপুরের তৃণমূল নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল। জখম তৃণমূল নেতা কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই তৃণমূল নেতার হাত কেটে পড়ে গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম তৃণমূল নেতার নাম পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না। তিনি কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূল সদস্য। পিন্টু চক্রবর্তী কানাইপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিও। জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডে তাঁর গ্যাসের অফিস থেকে বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতি তাঁর ওপর চড়াও হয়। এর পরেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তাঁর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাত কেটে পড়ে গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় পিন্টুকে উদ্ধার করে কানাইপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বুধবার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শিবচন্দ্র দে বলেন, “সন্ধায় নিজের অফিসের সামনে দুষ্কৃতি হামলার শিকার হন পিন্টু চক্রবর্তী। তার একটা হাত কেটে পরে যায়। ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। এই ঘটনায় আমরা ব্যবসায়ীরা ভয়ে রয়েছি।” ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “আমরা একটা বৈঠকে ছিলাম। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি এই পরিস্থিতি।” তিনি আরও জানান, “তার অবস্থা সংকটজনক। তাই বিস্তারিত না জেনে কিছু বলা ঠিক হবে না।”

খবর পেয়ে প্রথমে কানাইপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। উত্তরপাড়া থানা থেকেও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অর্নব বিশ্বাস। রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের অন্তর্রদন্দ্ব হতে পারে। যদিও কত জন দুষ্কৃতী সেখানে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার নেপথ্যে কী কারন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


Share