Molana's Wife and His Two Daughter Was Murdered

উত্তরপ্রদেশের বাগপতের মসজিদের কক্ষে মৌলানার স্ত্রী এবং দুই মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, আটক দুই মাদ্রাসার ছাত্র, উদ্ধার অস্ত্র

বাগপতের দোঘাট থানা এলাকার গাংনাউলি গ্রামের একটি মসজিদে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ উপাসকেরা নমাজ পড়তে আসে। সেই সময় তারা মসজিদের একটি কক্ষের বাইরে রক্ত ​​বেরোতে দেখে। দেহ উদ্ধার করতে এসে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়।

নিজস্ব চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেরঠ
  • শেষ আপডেট:১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৫৩

উত্তরপ্রদেশের একটি মসজিদ কক্ষে এক মহিলা এবং ও তার দুই মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতেরা সম্পর্কে ওই মসজিদের ইমামের স্ত্রী এবং মেয়ে। শনিবার সকাল নমাজ পড়তে এসে কয়েক জনের চোখে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রবিবার মাদ্রাসার দুই ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। 

বাগপতের দোঘাট থানা এলাকার গাংনাউলি গ্রামের একটি মসজিদে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ মসজিদে কয়েক জন নমাজ পড়তে আসে। সেই সময় তারা মসজিদের একটি কক্ষের বাইরে রক্ত ​​বেরোতে দেখে। পরে ঘরে ঢুকে তারা দেখতে পান, ৩০ বছর বয়সি ইসরানা ও তার দুই মেয়ের নিথর দেহ বিছানার পড়ে রয়েছে। এর পরেই খবর দেওয়া হয় থানায়। উল্লেখ্য, ইসরানা এবং দুই শিশু ওই মসজিদের ইমাম মহম্মদ ইব্রাহিমের স্ত্রী এবং মেয়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। আসে ফরেন্সিকের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তারা। এর পরেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। তদন্তকারীদের তদন্ত করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে সংযম দেখিয়ে মাইক দিয়ে ঘোষণা বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করেন তারা। শেষমেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

ইসরানা এবং তার দুই মেয়ের মাথায় ভারী ভোঁতা বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে জানা যায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে দুই মাদ্রাসার ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। সুত্রের খবর, তাদেরকে মৌলানা বকাঝকা করেছিল। তাই প্রতিশোধ নিতে তার স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। সেখান থেকে পালিয়ে যায়। 

পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময় মসজিদের ভিতর ও আশপাশের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। মৌলানা মহম্মদ ইব্রাহিম এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সময় মসজিদের মৌলানা মহম্মদ ইব্রাহিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি-র স্বাগত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সাহারানপুরে গিয়েছিলেন।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিআইজি (মেরঠ) কলানীধি নৈথানি, জেলার পুলিশ সুপার সুরজ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ দিন কলানীধি নৈথানি জানান, মামলাটি উদ্ঘাটনে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। ঘটনার পর থেকে মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


Share