Madhyamgram Blast

টার্গেট ছিল প্রেমিকার স্বামী! মধ‍্যমগ্রাম বিস্ফোরণকাণ্ডে আটক দু’জন, খবর পুলিশ সূত্রে

গত রবিবার মধ্যমগ্রাম স্টেশনের পাশের ব্রিজের নীচে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মৃত যুবকের নাম সচ্চিদানন্দ মিশ্র। সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মধ্যমগ্রাম
  • শেষ আপডেট:১৯ আগস্ট ২০২৫ ০৬:১৮

মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণকান্ডে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব সামনে এল। পুলিশের দাবি, মধ্যমগ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে সমাজমাধ‍্যমে  আলাপ হয় সচ্চিদানন্দ মিশ্রর। সেই বিবাহিত গৃহবধূর স্বামীকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে উত্তরপ্রদেশ থেকে এই রাজ্যে আসে সচ্চিদানন্দ। জানা গিয়েছে, সোমবার এক মহিলা এবং তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

গত রবিবার গভীর রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে জখম হয় এক যুবক। বারাসাত মেডিকেল কলেজে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, যুবকের নাম সচ্চিদানন্দ মিশ্র। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলার বাসিন্দা। মধ‍্যমগ্রাম এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে সমাজমাধ‍্যমে সচ্চিদানন্দের আলাপ হয়। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে প্রেমের সম্পর্ক একতরফা নাকি দু’জনেরই সম্মতি ছিল তা স্পষ্ট নয়। সচ্চিদানন্দ মিশ্র তিন মাস আগে মধ‍্যমগ্রামে এসেছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সচিচিদানন্দের গৃহবধূর স্বামীকে টার্গেট করেছিল। রবিবার সেই মতো গভীর রাতে মধ্যমগ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক। পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত সচ্চিদানন্দ মিশ্র আইটিআই পাশ। তাই সে ডিভাইস বানানোর কাজে দক্ষ ছিলেন। তার ব্যাগে কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস মিলেছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিভাইস নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে বিস্ফোরক হিসেবে কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সোমবার বারাসত পুলিশ জানায়, হরিয়ানায় একটি কাচের কারখানায় কাজ করত বছর পঁচিশের যুবক সচ্চিদানন্দ মিশ্র। পুলিশ সূত্রের খবর, পরিবার দাবি করেছে তাদের সঙ্গে সচ্চিদানন্দ কোনও যোগাযোগ রাখত না। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের ব্যাগ থেকে কালো টেপ, তার, চার্জার ও একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে। বিস্ফোরণের পর গতকাল ঘটনাস্থলে পৌছোয় এনআইএ। পাশাপাশি বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও কোনও কারণ খতিয়ে রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


Share