Owner of The Rehab Centre Was Murdered

উত্তরপাড়ায় নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিককে ভারী বস্তু দিয়ে পরপর আঘাত, থেঁতলে খুন করে পলাতক আবাসিকেরা, মৃত ঘোষণা করল হাসপাতাল

ঘটনার খবর পেয়ে মদনের মা-দিদি নেশামুক্তি কেন্দ্রে যান। তাঁদের দাবি, মদন তখনও বেঁচে ছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মদনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

মৃতের নাম মদন রানা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তরপাড়া
  • শেষ আপডেট:১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৩

পুরোপুরি সুস্থ হয়নি তাই পুজোয় বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। তাই নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিককে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় পরপর আঘাত করল সেখানকার কয়েক জন আবাসিক। এর পরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় তারা। এর পরেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি হুগলির উত্তরপাড়ায় ঘটেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

মৃতের নাম মদন রানা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরবেলা ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের দুই আবাসিক মিলে মদনকে শিলনোড়া দিয়ে মাথায় পরপর আঘাত করে। শুধু তা-ই নয় অন্য এক আবাসিককেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর পরে মদনকে বাড়ির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তেরা দমদম এবং বেলঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, মদন দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলরের প্রাক্তন স্বামী। উত্তরপাড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র রয়েছে। তিনিই ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রটির মালিক।  স্থানীয় সুত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মদন রানার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারনার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তিনি নিজেও নেশা করতেন। বছর পাঁচেক আগে উত্তরপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নেন। সেখান থেকেই এই নেশামুক্তি কেন্দ্রটি চলছিল। বর্তমানে সেখানে ২০-২২ জন আবাসিক ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে বেশিরভাগ আবাসিকেরা ট্রেন ধরে চলে গিয়েছেন।

ঘটনার খবর পেয়ে মদনের মা-দিদি নেশামুক্তি কেন্দ্রে যান। তাঁদের দাবি, মদন তখনও বেঁচে ছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মদনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

শুক্রবার মদনের দিদি নন্দিতা বর্মা বলেন, “পৌনে সাতটা নাগাদ খবর পাই, ভাইকে মারধর করা হয়েছে। তারপর সেন্টারে এসে আমরা দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় মদন পরে রয়েছে। তখনও আমার ভাইয়ের শ্বাস চলছিল।” তাঁদের আরও বক্তব্য, “শুধু মাথায় আঘাত করেছে। শরীরে কিছু করেনি।”

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত দু’জন আবাসিক পুজোর আগে বাড়ি যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের ছাড়তে রাজি ছিলেন না কেন্দ্রের মালিক মদন রানা। শুক্রবার এ নিয়ে মদনের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। এর পরেই রান্নাঘরের চাবি খুলে শিলনোড়া নিয়ে এসে মদনের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।


Share