Singur Incident

সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে মৃতার দেহ নিয়ে আসা হল কল‍্যাণী এইমসে, সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত

আজ, সকাল ৭টা নাগাদ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী এইমস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রিন করিডর করে দেহ পৌঁছে গিয়েছে সেখানে।

দীপালি জানার দেহ নিয়ে আসা হয়েছে কল্যাণী এইমসে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কল‍্যাণী
  • শেষ আপডেট:১৬ আগস্ট ২০২৫ ১২:৫২

নন্দীগ্রামের নার্স দীপালি জানার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কল‍্যাণী এইমস হাসপাতালে নিয়ে আসা হল। ওই হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তার দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। পরিবারের দাবি মেনেই কেন্দ্রীয় সরকারের কল‍্যাণী এইমসে দেহ নিয়ে আসা হয়েছে। সেই মতো সকালে কলকাতা থেকে গ্রিন করিডর করে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের মর্গ থেকে দেহ বের করার কথা ছিল। সরকারি কাগজপত্রের কাজের জন্য তা প্রায় এক ঘণ্টা দেরি হয়। সকাল ৭টা নাগাদ দেহ মর্গ থেকে বের করে কল‍্যাণীর দিকে রওনা দেয়। গ্রিন করিডর করে দেহ এইমসে পৌঁছে যায়। সেখানে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকের উপস্থিতিতে হবে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। তা সম্পূর্ণ হলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন তদন্তকারীরা।

গত বুধবার সিঙ্গুরের একটি নার্সিংহোমে নন্দীগ্রামের নার্স দীপালি জানার রহস‍্যমৃত‍্যুর ঘটনা ঘটে। পরিবার জানায়, ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ তাদেরকে ফোন করে নার্সিংহোমে আসতে বলা হয়। কারন জানতে চাইলে বলা হয়, দীপালি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ভোর ৩টের সময় পরিবারের লোকেরা সেখানে পৌঁছোলে তাদের জানানো হয়, পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। দীপালির বাবা সুকুমার জানার অভিযোগ, “পরিবারকে না জানিয়েই দেহ নিয়ে চলে গিয়েছে পুলিশ। নার্সিংহোম আত্মহত্যার কথা বলছে ঠিকই কিন্তু আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে।” পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নার্সিংহোমের মালিক সুবীর ঘোরা এবং তার প্রেমিক রাধাগোবিন্দ ঘটককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় সিঙ্গুরে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বিজেপি এবং স্থানীয়েরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সেই দিন অবরোধ করে। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতালে। সেখানেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি সমর্থকেরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সামাল দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার দীপালির দেহের ময়নাতদন্ত না করে ওয়ালশের সুপার কলকাতা মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে রেফার করে দেন।

পরিবারের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই মৃতদেহ মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে আনা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়ায় মর্গের বাইরে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি এবং সিপিএমের কর্মীরা। সিপিএম কর্মীদের লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ে বিজেপির সমর্থকরা। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলকে বাঁচাতে সিপিএম এখানে দেহ দখল করতে এসেছে। এক বিজেপি কর্মী বলেন, “যেভাবে আরজি কর-কান্ডের পরে দখল করে মমতাকে বাঁচিয়েছে এখনও সেই খেলা খেলতে মাঠে নেমে পড়েছে সিপিএম।” অন্যদিকে সিপিএমের দাবি, মৃতার দেহ হাউজ‍্যাক করতে বিজেপি তৃণমূলের হয়ে এসেছে। 

প্রসঙ্গত, গত তিন দিনেও দেহ ময়নাতদন্ত করা যায়নি। আজ, শনিবার পরিবারের সম্মতিতেই কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল কল‍্যাণী এইমসে দেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। 


Share