Dankuni Municipality

জলমগ্ন ডানকুনি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড, বাড়িতে ঢুকেছে নর্দমার জল, বিক্ষোভ কংগ্রেসের

ডানকুনি পুরসভার এলাকায় মোট ২১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই মধ‍্যে সব থেকে খারাপ অবস্থা ১৩, ১৪, ১৫, ১৮ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের।

পিচের রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদে কংগ্রেস।
নিজস্ব সংবাদদাতা: ডানকুনি
  • শেষ আপডেট:১৪ জুলাই ২০২৫ ০২:০০

একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডানকুনির একাধিক এলাকা। কোথাও এক হাঁটু জল আবার কোথাও বাড়ির মধ্যে জল ঢুকেছে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভাকে বার বার জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রাস্তার মধ্যে ধানের চারা লাগিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সমর্থকরা। আবার কোথাও জমে থাকা জলে জাল দিয়ে মাছ ধরে প্রতীকী প্রতিবাদ দেখালেন তাঁরা।

ডানকুনি পুরসভার এলাকায় মোট ২১টি ওয়ার্ড রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতিবছরই বর্ষার সময় প্রতিটি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই মধ‍্যে সব থেকে খারাপ অবস্থা ১৩, ১৪, ১৫, ১৮ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের। সেখানে লাগাতার বৃষ্টির কারনে রাস্তায় এক হাঁটু জমেছে জল। পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় নর্দমার নংরা জল বাড়িতে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে পুরসভার কাছে বার বার অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এর ফলে জমা জলের কারণে জলযন্ত্রণার মধ্যে থাকতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।

প্রশাসনকে দায়ী করে সোমবার ডানকুনি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতীপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এ দিন কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তার মধ্যেই ধান গাছের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আবার কোথাও জাল দিয়ে মাছ ধরে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন তাঁরা।

সোমবার চণ্ডীতলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশীষ রজক বলেন, “সাধারণ মানুষ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির কারণে জমা জলের কারণে এলাকার মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের ইচ্ছা নেই সাধারণ মানুষকে সুরাহা দেওয়ার। সেই কারণে মানুষের স্বার্থে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস।” 

আশীষ আরও বলেন, “রাস্তাঘাটের যা অবস্থা তা দেখে লোকে বলবে পুকুর না হলে ধান রোপণ করার জমি। সেই কারণেই কংগ্রেসের তরফ থেকে রাস্তা জমা জলেই ধান রোপন করা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও রাস্তা পুকুর হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে সেখানে জাল পেতে মাছ ধরা চলছে।” আগামী দিন যদি পরিষেবা উন্নত না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

অন্যদিকে গোটা ঘটানো প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শম্ভু সাউ বলেন, “বর্ষার কারণে গোটা বাংলা জুড়েই জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্ষাকালে জল জমবে, এটা সাধারণ ব্যাপার। তবে গোটা এলাকায় সমস্ত জায়গায় পিচ রাস্তা হয়ে গেছে। তাই ধান জমি কোনটাই নেই। এবং জায়গায় জায়গায় জল নিকাশি ব্যবস্থার কাজও চলছে।” 

এ দিন তৃণমূল নেতা শম্ভু সাউ বিরোধী দলকে কটাক্ষ করে বলেন, “তারা কখনই দেখতে পায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী কী উন্নয়নের কাজ করেছে। তাই তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে ছানি অপারেশন করাতে হবে যাতে তারা সঠিকভাবে দেখতে পায়।”


Share