Singur Incident

নন্দীগ্রামের মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে, খুনের অভিযোগ তুলে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ

হুগলির সিঙ্গুরের একটি নার্সিংহোমের চারতলা থেকে দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে।অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৃতের নাম দীপালি জানা (২৪)।
নিজস্ব সংবাদদাতা: সিঙ্গুর
  • শেষ আপডেট:১৪ আগস্ট ২০২৫ ০২:৩৮

বৃহস্পতিবার হুগলির নার্সিংহোমে এক তরুণী নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের নাম দীপালি জানা। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। দীপালি তিন দিন আগে নার্সের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার রাতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিচারের দাবিতে পরিবারের লোকজন জাতীয় সড়কে বসে বিক্ষোভ করেন।

জানা গিয়েছে, বছর ২৪-এর দিপালীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। তিনি গত বছর বেঙ্গালুরুর একটি কলেজ থেকে নার্সিং পাশ করেন। গত তিন আগে বান্ধবীর সুবাদে হুগলির সিঙ্গুরের বোড়াই তেমাথায় এলাকায় একটি নার্সিংহোমে চাকরিতে যোগ দেন। গতকাল রাতে ওই নার্সিংহোমের চারতলার একটি ঘরে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ পরিবারের কাছে ফোন আসে। তাতে জানানো হয়, ‘আপনারা তাড়াতাড়ি আসুন। আপনাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে।’ এর পরেই পরিবারের লোকেরা গাড়ি ঠিক করে সাড়ে ৩টে নাগাদ নার্সিংহোমে পৌঁছোন। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের মেয়ের মৃতদেহ পুলিশ নিয়ে চলে গিয়েছে। দীপালিকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দীপালির বাবা সুকুমার জানা বলেন, “গত পরশুদিন রাত সাড়ে ৮টার সময় মেয়ের সাথে কথা হয়েছে। তখনও সে ভালোভাবে কথা বলেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়ে এখানে নার্সিং করতো। তিন দিন হল কাজে যোগ দিয়েছে। মেয়ের মৃতদেহ আমাকে না দেখিয়ে কেন থানায় নিয়ে যাওয়া হল। আমার মেয়েকে এরা খুন করেছে।” 

বৃহস্পতিবার নার্সিংহোম মালিকের শাস্তির দাবি করে দিনভোর চলল বিক্ষোভ। পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শ্রীরামপুর-চন্ডীতলা যাওয়ার রাস্তার। বিক্ষোভ হটাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ।

এ দিন দিপালীর বান্ধবী মল্লিকা বাউরি বলেন, “ওকে কারোর সাথে কথা বলতে দেখিনি। আমি যখন উপরে গিয়েছিলাম তখন দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। জানলা খুলে দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এর পরেই আমি সবাইকে বিষয়টি জানাই।” 

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় জানান, “একটা নার্সিংহোমে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। মৃতার পরিবার মৌখিক ভাবে যেটা বলছে সেটা লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পস্ট হবে।”


Share