Hooghly Murder

‘জেলে গেলে তোকে মেরেই যাব’ স্ত্রীকে ফোনে হুমকি, হুগলিতে পিটিয়ে খুন করল স্বামী, পলাতক অভিযুক্ত

ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বিলাতপুরে। অভিযোগ, মনজুরা খাতুনকে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁর স্বামী রজব আলি। রজবের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

মনজুরা খাতুন (বাঁ দিকে) এবং অভিযুক্ত রজব আলি (ডান দিকে)।
নিজস্ব সংবাদদাতা, সিঙ্গুর
  • শেষ আপডেট:২৪ আগস্ট ২০২৫ ০৭:২৩

‘জেলে যখন যেতেই হবে, তখন তোকে মেরেই যাব’, স্ত্রীকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন স্বামী! এর পরেই ভয় পেয়ে আত্মীরের বাড়ি চলে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ। রাস্তাতেই স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে।

হুগলির দাদপুর থানার বিলাতপুর এলাকার ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম মনজুরা খাতুন(২৮)।  অভিযুক্ত স্বামীর নাম রজব আলি। রজবের বাড়ি সিঙ্গুরের পায়রাউড়া গ্রামে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রজবের সঙ্গে মনজুরা খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল।

মনজুরা খাতুনের দাদা রফিক শেখের অভিযোগ, ১৫ দিন আগে কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে এসে রজব তাঁর বোন মনজুরাকে মারধর করে। এর পরেই মনজুরা ভদ্রেশ্বরের ন'পাড়ায় এলাকায় তাঁর বাপের বাড়ি চলে যায়। সেখানে গিয়ে ভদ্রেশ্বর থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলাও দায়ের করেন। 

পরিবারের আরও অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে জেনে রজব আলি স্ত্রীকে ফোন করে। জানায়, ঝামেলা মিটিয়ে নিয়ে আবার তাঁরা সংসার করবে। সেই মতো মনজুরা ফের শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন। পুলিশ সুত্রের খবর, দু-এক দিন আগে ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত শ্বেতপুর ফাঁড়ির পুলিশ বধূ নির্যাতনের মামলায় রজব আলিকে থানায় তলব করে। 

এর পরে রজব গতকাল রাত ১১টা নাগাদ তার স্ত্রীকে ফোন করে। রজব বলে, ‘জেলে যখন যেতেই হবে তোকে মেরে তবেই যাব'। এর পরেই ভয় পেয়ে মনজুরা খাতুন তাঁর দুই সন্তান এবং প্রতিবেশী মহিলাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, তাঁরা হারিট গ্রাম পঞ্চায়েতের জেটে গ্রামে মামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। 

পুলিশ সূত্রের খবর, বিলাতপুরের কাছে মনজুরা খাতুনকে ধরে ফেলে রজব। তাঁর দুই সন্তান এবং প্রতিবেশী মহিলাকে তার এক বন্ধুকে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মনজুরা ভয় সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে তাড়া করে ধরে ফেলে রজব। এর পরেই রাস্তার ফেলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত‍্যা হয়েছে বলে অভিযোগ।

মনজুরার খাতুনের বাপের লোকজন জানিয়েছে, মনজুরার সঙ্গে থাকা ওই মহিলা ফোন করে তাঁদেরকে ঘটনার খবর দেয়। খবর দেওয়া হয় থানায়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দাদপুর থানার পুলিশ খুনের মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রজব আলি পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।


Share