Hooghly Murder

হুগলির বৈদ্যবাটিতে যুগলের রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

স্থানীয়দের দাবি, ভোর তিনটে নাগাদ তারা ওই বাড়িতে চিৎকার শুনতে পান। তারপর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে একজন এবং ঘরের বাইরে একজন পড়ে রয়েছে।

বৈদ্যবাটির এই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে যুগলের মৃতদেহ।
নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্রীরামপুর
  • শেষ আপডেট:০৩ জুলাই ২০২৫ ০১:২০

জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হল হুগলিতে। আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে বৈদ‍্যবাটিতে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের নাম মনীশ ভাদুড়ী (৩৫) ও অপর্ণা মাঝি (৩২)। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, ভোর তিনটে নাগাদ তারা ওই বাড়িতে চিৎকার শুনতে পান। তারপর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে একজন এবং ঘরের বাইরে একজন পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছু ক্ষণ তারা ছটফট করছিলেন। এর পরেই প্রতিবেশিরা রাজার বাগানে মনীশের বাড়ির লোককে খবর দেন। তারাই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তারা খুন হয়েছেন। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মণীশ এবং অপর্ণা বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটি রাজার বাগানে মনীশের একটি বাড়ি আছে। গত তিন বছর ধরে দু’জনেই সীতারাম বাগানে ওই বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মনীশ ভাদুড়ী একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। অপর্ণা মাঝি পরিচারিকার কাজ করতেন। দু’জনে এক সঙ্গেই থাকতেন। সকালে কাজে বেরিয়ে যেতন। রাতে বাড়ি ফিরতেন। কী ভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে? রহস‍্যমৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।

ঘটনাস্থলে আসেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) অর্নব বিশ্বাস-সহ একাধিক পুলিশ অধিকারীক। বৃহস্পতিবার ডিসি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমারা আশেপাশের এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। বাইরে থেকে কেউ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা আসবেন।” ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি।


Share