Poll Violence Case

বিজেপি করার অপরাধে নাবালিকাকে ধর্ষণ! ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় তৃণমূল নেতাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ আদালতের

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআইকে সেই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।

রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত।
প্রশান্ত দাস: মালদহ
  • শেষ আপডেট:০৪ জুলাই ২০২৫ ০৬:১০

২০২১ সালে নির্বাচনোত্তর হিংসায় বিজেপি সমর্থকের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল নিম্ন আদালত।

চার বছর আগে মালদহের মানিকচকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিজেপি সমর্থকের ন’বছরের কন্যাকে ধর্ষণ করেছিল তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলাম। রফিকুল অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। ২০২১ সালের ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ সংক্রান্ত ওই মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল মালদহ জেলা আদালত।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। উচ্চ আদালতের নির্দেশেই সেই সময়ে ঘটা খুন-ধর্ষণের তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

জানা গিয়েছে, নির্বাচনোত্তর হিংসা মামলার অন্তর্গত মোট ৫৫টি ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার পেয়েছিল সিবিআই। তার মধ্যেই একটি ছিল মালদহের মানিকচক ব্লকের বিজেপি কর্মীর নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ। নির্বাচনোত্তর হিংসা সংক্রান্ত এই প্রথম কোনও মামলায় রায় দিল আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার মালদহের অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক রাজীব সাহা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। আজ, শুক্রবার সাজা ঘোষণা হল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে দোষী রফিকুল ইসলাম সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরে তৃণমূলে যোগ দেয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে ৫ জুন চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, নির্যাতিতার পরিবার কেন এলাকায় বিজেপি করে? শাসকদলের সমর্থক না হওয়ায় ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে’ তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলাম সেই বাড়ির মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হল।

এ দিন সিবিআইয়ের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, ‘‘পকসো আইনে মামলা চলছিল। মোট ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সিবিআইয়ের দায়ের করা ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত কোনও মামলায় এই প্রথম সাজা ঘোষণা হল।’’

শুক্রবার নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, মেয়েটি বর্তমানে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। নাবালিকার মা বলেন, “মেয়ে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। ওকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বিধানসভা ভোটে বিজেপি করার কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল আমাদের।”


Share