TMC Inner Clash

পঞ্চায়েতে বৈঠক চলাকালীন অশান্তি, ঝড়ল রক্ত, মালদহের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম দু’পক্ষের তিনজন

মালদহ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “একটা গ্রাম‍্য বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছে। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। ব্লকের সভাপতি ব‍্যপারটা দেখছে। দলীয় নেতারা বসে দ্বন্দ্ব দ্রুত মিটিয়ে নেবেন।”

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে ঝড়ল রক্ত।
প্রশান্ত দাস, মোথাবাড়ি
  • শেষ আপডেট:১০ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২২

আবাস যোজনার টাকা ভাগাভাগি এবং পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল মালদহ। সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দুই সদস্যার স্বামী। আরও একজন সদস্য জখম হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। থানায় দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের মোথাবাড়ি বিধানসভার কালিয়াচক-২ ব্লকের অন্তর্গত রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনাটি ঘটেছে।  স্থানীয় তৃণমূল সূত্রের খবর, রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে তৃণমূলের উপপ্রধান সবিতা সাহা চৌধুরীর স্বামী গোপাল চৌধুরী বোর্ড মিটিং ডেকেছিলেন। সেখানে আবাস যোজনার টাকা ভাগাভাগি এবং অনাস্থা প্রস্তাবের প্রসঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠক চলাকালীন মেজাজ হারান পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সামসুন নেহারের স্বামী নাসির আহমেদ।

এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ প্রধানের স্বামী নাসিরকে কাঠের এবং লোহার চেয়ার দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এর পরেই পঞ্চায়েতের দু’জন সদস্য পালিয়ে গিয়ে আমবাগানে আশ্রয় নেয়। সদস‍্যদের একাংশের অভিযোগ, আমবাগানে প্রাধানের স্বামী দলবল নিয়ে এসে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। 

এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেল প্রধান সামসুন নাহার। তাঁর দাবি, ঘটনার পরে স্বামী বাড়িতে চলে এসেছিল। আমবাগানে যারা আশ্রয় নিয়েছিল, গ্রামবাসীরা তাদের চোর ভেবে মারধর করেছে।” সামসুন আরও জানান, তার স্বামীর ঘাড়ে আঘাত রয়েছে। মালদহ মেডিকেল কলেজ তার চিকিৎসা চলছে। 

পুলিশ সুত্রের খবর, দু’জন মালদহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দিনের রথবাড়ি পঞ্চায়েতে গন্ডগোলের ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপির এক নেতা বলেন, “ভোট আসছে। তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারামারি করে দলটাই থাকবে কি না সন্দেহ। সাধারণ মানুষ কীভাবে ভোট দেবে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। প্রশাসন তৃণমূলের দলদাসের মতো আচরণ করছে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হবে।”

যদিও মালদহ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “একটা গ্রাম‍্য বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছে। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। ব্লকের সভাপতি ব‍্যপারটা দেখছে। দলীয় নেতারা বসে দ্বন্দ্ব দ্রুত মিটিয়ে নেবেন।”


Share