Congress Leader Died in Accident

মালদহে গাড়ি দিয়ে পিষে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে খুনের অভিযোগ, দলীয় কর্মীর দিকে আঙুল তুলল নেতার পরিবার

নিহত কংগ্রেস নেতার নাম নরেন্দ্রনাথ সাহা। ৪৫ বছর বয়স। তিনি পেশায় আইনজীবী। এর পাশাপাশি তিনি কংগ্রেস পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। নিহতের বাড়ি হরিশচন্দ্রপুরের কনুয়ায়।

নিহতের নাম নরেন্দ্রনাথ সাহা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, হরিশচন্দ্রপুর
  • শেষ আপডেট:০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৩:৫২

গাড়ি দিয়ে পিষে কংগ্রেস নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠল মালদহে। হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনা। ঘটনায় এক কংগ্রেস কর্মীর দিকে আঙুল তুলেছে নিহতের পরিবার। দাবি, রাজনৈতিক রেষারেষি এবং পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

নিহত কংগ্রেস নেতার নাম নরেন্দ্রনাথ সাহা। ৪৫ বছর বয়স। তিনি পেশায় আইনজীবী। এর পাশাপাশি তিনি কংগ্রেস পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। নরেন্দ্রনাথ হরিশচন্দ্রপুরের কনুয়ার বাসিন্দা। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাতে দলীয় এক কর্মীর সঙ্গে বচসা হয়। তার পরেই নরেন্দ্রনাথকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয় বলে দাবি।

জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে আইনজীবী নরেন্দ্রনাথ সাহা সোমবার দু’টি বাইকে চারজন সঙ্গী নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম হন কংগ্রেস নেতা-সহ পাঁচ জনই। জখম চারজন হলেন শেখর সাহা, শশাঙ্ক সাহা, মনোজকুমার দাস এবং পুলক সাহা। শেখর সাহা ও শশাঙ্ক সাহা – দু’জনেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পাঁচ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতা নরেন্দ্রনাথকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে।

অন‍্যদিকে মৃত কংগ্রেস নেতার স্ত্রীর দাবি এটি নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং ‘পরিকল্পিত খুন’। অভিযোগ, স্বামীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করেছেন এলাকারই বাসিন্দা তথা কংগ্রেসের কর্মী বিপদ মণ্ডল। সুত্রের খবর, কয়েক বছর আগে খুন হন কংগ্রেস নেতা বিপদ মন্ডলের ভাই। ওই ঘটনায় নরেন্দ্রনাথ সাহা অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। 

স্থানীয়দের দাবি, পুরনো শত্রুতা থেকেই খুন হয়ে থাকতে পারে। পরিবারের আরও দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই নরেন্দ্রনাথ সাহা ও বিপদ মন্ডলের মধ্যে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছিল। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত বা কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেখর সাহাকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়িতে। শশাঙ্ক সাহাকে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন মালদা মেডিকেল কলেজে এবং অপরজন রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


Share