Governor Sacked VC

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, হাই কোর্টে মামলা, রাজ্যপালের নির্দেশে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত পবিত্র চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ইংরেজবাজার
  • শেষ আপডেট:২৭ আগস্ট ২০২৫ ০৫:১৫

গত আট বছর ধরে আটকে রয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। চলতি বছরে ২৫ অগস্ট সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন‍্য আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আচার্য, রাজ‍্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষা দফতরের আপত্তিতে সেই অনুষ্ঠান করা যায়নি। এ বার অন্তর্বর্তী উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সরানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

রাজভবন সূত্রের খবর, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। রাজভবন জানিয়েছে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসি। তাঁর অভিযোগ, উপাচার্য তিন লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। যেটা বেআইনি। এরই প্রেক্ষিতে অপসারিত হয়েছেন উপাচার্য।

সংবাদমাধ্যমকে রাজভবন জানিয়েছে, “এই অভিযোগ গুরুতর। অর্থ আদায়ের চেষ্টায় অভিযুক্তকে উপাচার্য পদে রাখা যায় না। রাজ‍্যের শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে নিস্কলঙ্ক করতেই এই পদক্ষেপ”

রাজভবন সূত্রের খবর, প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পরে রাজভবনের তরফে তদন্ত করা হয়। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ দিন সকালেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ই-মেল মারফত অপসারণের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে রজ‍্যের প্রস্তাবিত নাম বাতিল করে পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল।

রাজ্য সরকার এবং রাজভবনে মতানৈক্যের কারনে ২০১৭ সাল থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়নি। ফলে স্নাতক-স্নাতকোত্তেরের উত্তীর্ণেরা হাতে শংসাপত্র পাননি। এই মুহূর্তে তাঁদের ‘প্রোভিশনাল সার্টিফিকেট’ দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। পাশাপাশি ২৫ অগস্ট সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছিল রাজভবন।শিক্ষা দফতরের আপত্তিতে উপাচার্য আয়োজন করতে পারেননি। এতেও রাজভবন ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার মালদহের বিজেপির এক নেতা বলেন, “গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এরম অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও অনেক উপাচার্যকে সরানো হয়েছে। রাজ্যপালের কাজে শিক্ষা দুর্নীতির সব খবর আছে। ছাত্রছাত্রীদের সাময়িক অসুবিধা হবে। তা তাঁরা অভিযোজীত করে নেবেন।”

যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য, “গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও এই নেক্সাসের সঙ্গে জড়িত। তিনি অন্তর্বর্তী উপাচার্য ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এবার সেখানে স্থায়ী উপাচার্য পেল।”


Share