TMC Inner Clash

‘তোলাবাজি’তে বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের কদমতলা মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। বসিরহাট পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তার স্বামী দলেরই টাউন সভাপতির ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের টাউন সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: বসিরহাট
  • শেষ আপডেট:০৫ জুলাই ২০২৫ ০৬:৫৫

তোলাবাজিতে বাধা দিতে গিয়ে তৃণমূলের টাউন সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট শহরে কদমতলা মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, দোকান থেকে তোলাবাজির টাকা না পেয়ে বসিরহাট পুরসভার কাউন্সিলর মনিকা সোম গোলদার এবং তার স্বামী অরিন্দম গোলদার দলবল নিয়ে দোকান সরিয়ে দিতে আসেন। জানা গিয়েছে, সেই কাজে বাধা দেন বসিরহাটের টাউন সভাপতি অভিজিৎ ঘোষ। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁরা অভিজিতের ওপর হামলা চালিয়েছে। স্থানীয়েদের অভিযোগ, টাউন সভাপতিকে কাঠের টুল দিয়ে মারধর করা হয়েছে। বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে কাদায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরে স্থানীয়েদের সাহায্য নিয়ে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে অভিজিতকে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তভিজিতের বুকে এবং হাতে গুরুতর চোট রয়েছে।

এ দিন বসিরহাটের তৃণমূলের টাউন সভাপতি অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “আমি দোকানে বসেছিলাম। মণিকা সোম গোলদার এবং তাঁর স্বামী অরিন্দম গোলদার লোকজন নিয়ে এসে আমাকে এসে বেধড়ক মারধর করেছে। মণিকা সোম গোলদার কাঠের টুল দিয়ে আমার বুকে আঘাত করেছে।” অভিজিৎ আরও বলেন, “বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করিয়েছেন। আমার দলের কাউন্সিলর হলেও আমি ওদের মুখও দর্শন করি না। ওরা আমায় মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। ওদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে।”

জানা গিয়েছে, কাউন্সিলর মণিকা সোম গোলদার এবং তাঁর স্বামী অরিন্দম গোলদার বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। এক স্থানীয় বলেন, “বিধায়কের হাত মাথায় থাকায় এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাঁদের।” এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বলেন, “বর্তমানের কাউন্সিলর এলাকার মানুষের পাশে  থাকেন না। এলাকায় তোলাবাজি এবং রাহাজানি ছাড়া কিছু করেন না। আর গোটাটাই বিধায়কের মদতে হয়।”

অভিযুক্ত কাউন্সিলরের স্বামী অরিন্দম গোলদার বলেন, “আমার স্ত্রী ওখান দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেছে।

এ দিন এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমার দোকানে ঢুকে কাউন্সিলর দলবল নিয়ে এসে ভাঙচুর করে। আমাকেও মারধর করা হয়।”

টাউন সভাপতি অভিজিৎ ঘোষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর মনিকা সোম গোলদার। তিনি পাল্টা অভিজিতের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “২১ জুলাইয়ের প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। সেই সময় টাউন সভাপতি আমায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার স্বামীকে মারধর করেছে।”


Share