ফের আক্রান্ত হল পুলিশকর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। প্রকাশ্যেই পুলিশকর্মীদের গায়ে হাত তোলেন। অকথ্য ভাষায় পুলিশকে গালিগালাজ করেছেন অভিযুক্তেরা। রাতেই কুলতলি থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে।?
ধৃতরা হলেন সুখেন দাস এবং স্বপন দাস। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, রবিবার চার বন্ধু মিলে তাঁরা কৈখালি বেড়াতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর ফেরার সময়ে কুলতলির জামতলা বাজার এলাকায় ঝামেলা হয়। অভিযোগ, তাঁরা রাস্তার উপরে চারচাকা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। তাতে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ গাড়ি সরিয়ে নিতে বললে তাঁদেরকে গালিগালাজ করা হয়। তারপর তাঁদের ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।?
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অভিযুক্ত দু’জনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রাস্তার উপর থেকে গাড়ি সরিয়ে নিতে বললে পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করেন তাঁরা। জামতলা বাজার এলাকায় মেলা চলছিল। ফলে লোক সমাগম অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। এর মাঝে পুলিশের সঙ্গে বচসায় এলাকায় যানজট বাড়তে থাকে। অভিযুক্তেরা পুলিশকর্মীদের মারধর করেন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। পরে আরও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে, থানায় গিয়ে মারধরের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার দু’জনকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়।?
উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে কিছু দিন আগে এক বিচারাধীন খুনের আসামি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। দুই পুলিশকর্মীকে জখম করে আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে পুলিশের গুলিতে অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি গতকাল ভাঙড়ে মেলায় জুয়ার ঠেকে অভিযান চালানোর পরে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলে পুলিশকে বাঁশ দিয়ে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আহত হয় ৫ পুলিশকর্মী। তবে পরপর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।?
Share