Bangladeshi Police Officer Detained

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা, তুলে দেওয়া হল রাজ‍্য পুলিশের হাতে

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা নাগাত হাকিমপুর সীমান্তে ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের পুলিশ অফিসার। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে ধৃত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার।
নিজস্ব সংবাদদাতা, স্বরূপনগর
  • শেষ আপডেট:২৪ আগস্ট ২০২৫ ১১:১৬

ভারতের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে আটক করল বিএসএফ। গতকাল শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঘটনাটি ঘটেছে। কেন তিনি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তাঁকে রাজ‍্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ওই পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রতিদিনের মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় এক সন্দেহভাজনকে দেখে আটকানো হয়। তাঁর কাছে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়, যা স্পষ্ট হয় যে তিনি বাংলাদেশের এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার।

বিএসএফ সুত্রের খবর, ধৃত বাংলাদেশি পুলিশ আধিকারিকের নাম আরিফুজ্জামান। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তে তাঁকে আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, যেখানে ছাত্র আন্দোলনকারী আবু সৈয়দকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে কর্তব্যরত ছিলেন আরিফুজ্জামান। শনিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ‍্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ সুত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্তা ভারতে আশ্রয় চাইছিলেন। শরণাপন্ন হওয়ারও আবেদন করেছিলেন। যদিও বাংলাদেশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।

অন‍্যদিকে এক জন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের অবৈধভাবে সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টাকে ‘বিরলতম’ ঘটনা বলে মনে করছে বিএসএফ। অধিকারিকরা জানিয়েছেন, “একজন কর্মরত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারের এইভাবে ধরা পড়া বিরলতম। তাঁর এইভাবে প্রবেশ প্রচেষ্টার পেছনে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ছিল নাকি কোনও নেটওয়ার্কের হয়ে কাজ করছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এই বিষয়ে বিএসএফের ডিআইজি (দক্ষিণবঙ্গ) নীলোৎপলকুমার পান্ডে বলেন, “আমরা এক বাংলাদেশিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। তাঁর পরিচয় সম্পর্কে যা বলার পুলিশ বলবে।” যদিও বসিরহাটের জেলা পুলিশের সুপার হোসেন মেহেদি রহমান কোনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। 


Share