BJP Worker Murder Case

বারুইপুরে বিজেপির বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, গায়ে ঢালা হয় কেরোসিন, ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি বিজেপির

মৃত বিজেপি কর্মীর নাম রাজীব বিশ্বাস। তিনি বিজেপি বুথ সভাপতি ছিলেন। খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

মৃতের নাম রাজীব বিশ্বাস।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বারুইপুর
  • শেষ আপডেট:২৩ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪১

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে পরে রাজ্যের একাধিক বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বার বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির বুথ সভাপতিকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল নিজের বাবা, ভাই এবং কয়েক জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো (এখন কলকাতা ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।

জানা গিয়েছে, মৃত রাজীব বিশ্বাস (২২) বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৯ নম্বর বুথের বিজেপির কর্মী ছিলেন। বাড়ি বারুইপুর থানার অন্তর্গত উকিলপাড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, রাজীবকে বিজেপি করার জন্য গত ৮ অগস্ট নিজের বাড়িতে বেধড়ক মারধর করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি জীবন্ত অবস্থায় তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলেও দাবি করেছে বিজেপি।

শনিবার বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা বলেন, “বিজেপি বুথ সভাপতি রাজীব বিশ্বাসকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তাঁকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এর পর গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।” 

এই ঘটনায়  রাজীব বিশ্বাসের বাবা নিমাই বিশ্বাস, ভাই সন্দীপ বিশ্বাস-সহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সুত্রের খবর, রাজীব বিশ্বাসের বাবা নিমাই বিশ্বাস বারুইপুর হাসপাতালের অ‍্যাম্বুলেন্স ইউনিয়নের নেতা। ভাই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা পুলিশ।

বিজেপি নেতা শঙ্কুদেবে পণ্ডার এ-ও দাবি,  “গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলেছেন এক কলেজ ছাত্রী। তিনি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। অভিযুক্তেরা সবাই তৃণমূল কাউন্সিলরের লোক”। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।

তবে বারুইপুরের এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “এই ঘটনায় বিজেপির একজন অভিযোগ করতে এসেছিলেন। আমরা পরিবারকে অভিযোগ করতে বলেছিলাম। মৃতের মাকে অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল। প্রথমে পরিবারের কেউ অভিযোগ করেননি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করতে গিয়েছিল। পরে মৃতের কাকা অভিযোগ দায়ের করেন।”

অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়। ঘটনায় রাজীবের বাবা নিমাই বিশ্বাস এবং ভাই সন্দীপ বিশ্বাস গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

এ দিকে, বারুইপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিকের বক্তব্য, “বারুইপুরে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদ। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন”।


Share