ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। মালদহের পর উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সহ-সম্পাদকা সিরিয়া পরিভিনের ওপর হামলার অভিযোগ যশাইকাটি আটঘরা পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারিক মণ্ডল ও তাঁর দলবল বিরুদ্ধে। সিরিয়ার অভিযোগ, গতকাল রাতে শিমুলিয়া থেকে দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর রাস্তা আটকায়। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দুই দেহরক্ষীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারিক মণ্ডল।?
সিরিয়া পারভিনের অভিযোগ, “এটা পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। গতকাল রাতে দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। আচমকা আমার গাড়ির সামনে একটা বাচ্চা চলে আসে। আমার গাড়ির চালক জোরে ব্রেক কষে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। না হলে দুর্ঘটনা হতে পারত। আমি জানলা দিয়ে মুখ বার করে বাচ্চাটির বাবাকে বলেছি, ‘এই ভাবে বাচ্চাদের রাস্তায় কেউ ছেড়ে দেয়?’ তার পরেই এলাকায় লোকজন আমায় ঘিরে ধরেন। তাতে নেতৃত্ব দেন উপপ্রধান তারিখ মণ্ডল। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আমাকে গাড়ি থেকে টেনে বার করে মারধর করা হয়। আমায় চড় পর্যন্ত মারা হয়েছে। আমার দুই দেহরক্ষীকেও মারধর করা হয়।” পুরো ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক রোষ কাজ করেছে বলে অভিযোগ নেত্রীর। উল্লেখ্য, বাদুরিয়া উত্তর ব্লকের সভাপতি লিটনের অনুগামী তারিখ মণ্ডল।?
অন্য দিকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তারিক মণ্ডল বলেন, “পুরোটাই মিথ্যা এবং বানানো কথা। উনি আমাদের দলের নেত্রী। আমি দলের এক জন সৈনিক। আমি কেন ওঁকে আক্রমণ করব?’’ তাঁর দাবি,‘‘আমি গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই সমস্যার সমাধান করতে। তখন বাদুড়িয়া থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল। যা ঘটেছে, সকলের সামনে ঘটেছে। পুলিশ ভাল ভাবেই জানে কী ঘটেছে।’’?
উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী নেত্রী সিরিয়া পারভিন আগে বিজেপি করতেন। গত বছর সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে গন্ডগোল হয় সুকান্তের। গাড়ির বনেটের উপর পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই সময় এক মহিলার সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিরিয়া গত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন।?
Share