A Guest Lecture Allegedly Used Forged Seal of The Principal

অধ্যক্ষের সিলমোহর জাল করে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র নেওয়ার অভিযোগ অতিথি অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে, বীরভূমের বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককে শোকজ করল উপাচার্য

ওই মহিলা অধ্যাপিকা অভিজ্ঞতার শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন, সেই তারিখটি ছিল ২০২৩ সালের ১৬ মে। অথচ তখন বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। অনেক পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।

উপাচার্যের লেখা সেই চিঠি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর
  • শেষ আপডেট:১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:০০

জাল পাসপোর্ট-আধার কার্ড-ভোটার কার্ডের পরে এ বার জাল ‘অভিজ্ঞতার শংসাপত্র’! অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষের সিলমোহর জাল করে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র তৈরি করেছেন এক অতিথি অধ্যাপিকা। শুধু তা-ই নয়, সেই শংসাপত্র দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতেও বহাল রয়েছেন। অভিযোগ পাওয়া পরেই পরীক্ষানিয়ামককে শোকজ করেছেন উপাচার্য।

২০২৩ সালের বীরভূমের ইলামবাজারের কবি জয়দেব কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় এক অতিথি অধ্যাপিকা কবি জয়দেব কলেজে অতিথি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। সেই সময় জলি কলেজ থেকে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র নিয়েছিলেন। তাতে সেই কলেজের অধ্যক্ষ জয়দেব দেওয়ানশীর সিলমোহর-সহ সাক্ষর করা হয়েছে। অভিযোগ, সেই সাক্ষর জাল। শুধু তা-ই নয় সেই শংসাপত্র দেখিয়ে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অতিথি অধ্যাপিকা হিসেবে চাকরিও করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রের খবর, কয়েক মাস অন্তর সমস্ত বিভাগে প্রধানদের মধ্যে পরিবর্তন আনা হয়। তার জন‍্য সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেন উপাচার্য। সেই সময় তাঁর নজরে আসে, ওই অতিথি অধ্যাপিকার অভিজ্ঞতার শংসাপত্র। এর পরেই তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব দেওয়ানশীর কাছে থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, যে তারিখে সাক্ষর করা হয়েছে, সেই তারিখে অধ্যক্ষ আসেননি। তার এ-ও দাবি, তিনি সাক্ষরও করেননি।

যদিও সেই শংসাপত্রে স্বাক্ষর রয়েছে ইংরেজি বিভাগের এক অধ্যাপকের। তিনি বর্তমানে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষানিয়ামক পদেও রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চান বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপকুমার মাইতি। অভিযোগ, উপাচার্যকে গালিগালাজ করা হয়। এর পরে ওই অধ‍্যপকে শো-কজ করেন। জানা গিয়েছে, যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই সময় ওই অধ‍্যাপক বীরভূম জেলার তৃণমূল সমর্থিত অধ‍্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার জেলা সম্পাদক ছিলেন।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ওই অধ‍্যাপিকা যখন অভিজ্ঞতার শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন, সেই তারিখটি ছিল ২০২৩ সালের ১৬ মে। অথচ তখন বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। অনেক পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। ফলে কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে আগেভাগে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেই প্রশ্ন ঘনীভূত হয়েছে। শনিবার বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কী উঠে আসে তা বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”


Share