TMC MLA Accused of Assaulting An Official

স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসে ঢুকে সহকারী রেজিস্ট্রারকে লাথি! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিযোগ শুভেন্দুর

স্বাস্থ্যশিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রারকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ উঠল ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। সেই ভিডিয়ো এক্সে পোস্ট করেছেন রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সিসিটিভি ফুটেজ সনাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়্গপুর
  • শেষ আপডেট:০৮ জুলাই ২০২৫ ০৪:০১

সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসে ঢুকে সহকারী রেজিস্ট্রারকে লাথি মারার অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভিডিয়ো (এখন কলকাতা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)-তে দেখা যাচ্ছে, ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার প্রলয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এর পরেই আচমকা তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর প্রলয় চক্রবর্তীর ওপর চড়াও হন। এর পরেই পর পর রেজিস্টারকে লাথি মারছেন তৃণমূল বিধায়ক। ভিডিয়োতে আরও দেখা যাচ্ছে, সহকারী রেজিস্ট্রার বিধায়কের কাছে হাত জোড় অনুরোধ করছেন তাকে না মারার জন্য। প্রাণ বাঁচাতে নিজের অফিস থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হুমায়ুন রেজিস্ট্রারের পথ আটকান। কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার প্রলয় চক্রবর্তী।

এই সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চড়ছে পারদ। এ দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স-এ ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন, “এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথাকথিত ‘শাসন’-এর আসল চেহারা যেখানে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব আইনের শাসনকে পদদলিত করছে।”

যদিও ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সোমবার হুমায়ুন বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমি যথা সময় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন,“এটাই কি সেই “উদাহরণমূলক প্রশাসন”, যার প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন?” তৃণমূল বিধায়ক কি সরকারি কর্মচারীকে মারধর করার লাইসেন্স নিয়ে ঘুরছেন?” 

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, এই মারধরের ঘটনা শুধু একজন ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়। প্রশাসনিক পরিকাঠামোর এবং আইনশৃঙ্খলার উপর সরাসরি আঘাত করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এমন ঘটনা রাজ্যে নতুন নয়। কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অধ্যাপিকাকে জলের জক ছুড়ে মারা, আবার বিডিও অফিসে ঢুকে সরকারি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। আবার থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছিল বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

সোমবার এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশের উপর গালিগালাজের ঘটনার মতোই এটাও কি ধামাচাপা পড়ে যাবে?”

তার আরও প্রশ্ন, “এটাও কি প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব?” হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তা-ও প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


Share