Facility Manager Arrested in Alleged Rape Allegation

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত ফেসিলিটি ম্যানেজার, ‘অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ’, দাবি বিজেপির

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। পুলিশকে তদন্ত করে ব‍্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতিতা তরুনীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বেসরকারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে।

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধর্ষণের অভিযোগ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাঁশকুড়া
  • শেষ আপডেট:১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২১

আরজি করকান্ডের এক বছর যেতে না যেতেই ফের সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। তরুণীর অভিযোগ, ওষুধ দেওয়ার নাম করে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

তরুণীর দেওয়া অভিযোগপত্রের বয়ান অনুযায়ী, রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ, তিনি যে বেসরকারি সংস্থায় অধীনে কাজ করেন, সেই সংস্থারই ফেসিলিটি ম্যানেজার একটি ঘরে ওষুধ নিতে ডাকে। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। এর পরেই বিষয়টি হাসপাতাল সুপারকে জানানো হয়। অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা তরুণী এ-ও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ফেসিলিটি ম্যানেজার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিচ্ছিল। সেই কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে দেবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। পুলিশকে তদন্ত করে ব‍্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতিতা তরুনীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বেসরকারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজাল আবরার।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ধৃত ফেসিলিটি ম্যানেজার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সিন্টু সেনাপতি বলেন, “পাঁশকুড়া হাসপাতালের ঘটনা আজকের নয়। অভিযুক্ত নিজেকে পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা বলে দাবি করে। অভিযুক্ত গত দশ বছর ধরে বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত। অবৈধ টেন্ডার, বেআইনি ওষুধের কারবার সবকিছুতে যুক্ত। হাসপাতালের কর্মীরা এর ভূমিকায় অখুশি।”

যদিও অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন জেলার তৃণমূলের নেতা শেখ সমিরুদ্দিন। তিনি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “এটা বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। এরা তৃণমূলের কোনও পদাধিকারী নয়। কেউ কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে নিজেকে প্রভাবশালী দেখানোর চেষ্টা করে।” অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।


Share