ED Raid on Alleged Sand Smuggling

বালি ব‍্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে টাকার পাহাড়, ইডির অভিযানে মেদিনীপুর এবং গোপীবল্লভপুর থেকে উদ্ধার ৯০ লক্ষ টাকা

সোমবার ইডির আধিকারিকেরা কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৩টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি। বালি পাচার মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। কয়েক জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা।

মেদিনীপুরের বালি ব‍্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬৫ লক্ষ টাকা নগদ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪২

অবৈধ ভাবে বালি পাচারে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গতকাল সকাল থেকে একযোগে ২৩ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। অভিযান চালানো হয় মেদিনীপুরের বালি ব‍্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে। ইডি সুত্রের খবর, তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জিডি মাইনিং সংস্থার কর্মী শেখ জাহিরুল আলির বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে বাড়িতে এতো টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

সোমবার সকাল থেকেই ইডি আধিকারিকেরা কলকাতা-সহ রাজ‍্যের ২৩টি ঠিকানায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অবৈধ ভাবে বালি পাচার মামলায় তল্লাশি অভিযানে নামেন। সেইমতো ইডির আধিকারিকেরা মেদিনীপুরের বালি ব‍্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান। ইডি সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই নগদ টাকাগুলি বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা ছিল। এ ছাড়াও বেশ কিছু নথি এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি ইডির তদন্তকারীরা ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে জিডি মাইনিং সংস্থার কর্মী শেখ জাহিরুল আলির বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মেদিনীপুর এবং গোপীবল্লভপুর মিলিয়ে ৯০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে ইডির আধিকারিকেরা। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, এই ৯০ লক্ষ টাকা নগদ ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। 

বালি পাচার মামলার তদন্তে ১৪ ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছে সৌরভ রায়ের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, সৌরভ রায়ের দু’টি বালির খাদান রয়েছে। একটি লালগড়ে, অপরটি রয়েছে গোপীবল্লভপুরে। ইডি সুত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ জন ইডি আধিকারিক এবং ১২ জন সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে একটি বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকের পরে গোটা তল্লাশি অভিযানের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠাবেন। এর পরেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, সোমবার ইডির আধিকারিকেরা কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৩টি ঠিকানায় অভিযান চালান। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের জিডি মাইনিংয়ের প্রধান কার্যালয় এবং এফই ব্লকের সংস্থার মালিক অরুণ শরাফের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলে। অভিযোগ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালি তুলে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত বালি বিক্রির টাকা প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নথি জাল করে কলকাতারগামী বালিভর্তি ট্রাক রাস্তায় নামানো হয়েছিল। বিভিন্ন বিএলএলআরও এবং পুলিশের এফআইআর একত্রিত করে ইডি ইসিআইআর করেছে। তার ভিত্তিতেই এই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


Share