TMC Inner Clash

পিংলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, অনাস্থা ১৪ সদস্যের

পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাই বাধ্য হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হচ্ছে।

ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস।
নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়্গপুর
  • শেষ আপডেট:০৩ জুলাই ২০২৫ ১১:১৩

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। পিংলা ব্লকের ৩ নম্বর ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনেই জয়ী হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। জানা গিয়েছে, তৃণমূলেরই ১৪ জন পঞ্চায়েতের সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। 

ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেতা পুষ্পেন্দু দে-র বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি অভিযোগ তুলেছেন দলেরই ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, পুষ্পেন্দু সরকারি প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে খরচা করেছেন। পুষ্পেন্দু ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের লোককে পঞ্চায়েতের কাজ কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। পঞ্চায়েতের গাছ কেটে বিক্রি করার লক্ষ্য লক্ষ্য টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়েই এই অনাস্থা এনেছেন বলে দাবি করেছেন বাকি সদস্যেরা। প্রসঙ্গত এর আগের পঞ্চায়েত বোর্ডের সময়ও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।

গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছেন নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সন্দীপ সাবারু বলেন, “আমাদেরকে চাপ দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হত। যাতে রিসোলিউশন এনে টাকা আত্মসাৎ করতে সুবিধা হয়। এর আগেও অনেকবার ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।’ তার আরও দাবি, ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সাথে কথা বলেই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। 

যদিও পিংলা ব্লকের বিডিও লাকপা ওয়াংচু শেরপা’র বক্তব্য , “নির্বাচনের আড়াই বছর আগে পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা যায় না। ১৪ জন পঞ্চায়েতের সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”


Share