Referee beaten on the Football Ground

খেলার মাঠে ফের আক্রান্ত আদিবাসী রেফারি, মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার চার যুবক

আজ ছিল সুপার ডিভিশনের ফাইনাল খেলা। বেলঘরিয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং খড়দহ সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে ফাইনালকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। প্রথমদিকে গোলশূন্য অবস্থায় খেলা চলছিল। তারপরে ৭১ মিনিটের মাথায় বেলঘড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব একটি পেনাল্টি পায়। খড়দহ সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তাদের অভিযোগ, রেফারির ভুল সিদ্ধান্তেই ওই পেনাল্টি পেয়েছে বেলঘরিয়ার ক্লাব।

রেফারিকে ফেলে মারার দৃশ‍্য।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৮

জেলার সুপার ডিভিশন খেলার মাঠে আদিবাসী রেফারিকে বেধড়ক মারধর করল ক্লাবের কর্মকর্তা এবং ফুটবলারদের একাংশ। রবিবার সন্ধ্যায় নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটেছে। রেফারি চরণ হেমব্রমকে নৈহাটির স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রেফারিকে মারধরের অভিযোগে চার জন ক্লাবকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এ নিয়ে কোনও তরফেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ নিজে থেকেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ছিল সুপার ডিভিশনের ফাইনাল খেলা। বেলঘরিয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং খড়দহ সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে ফাইনালকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। প্রথমদিকে গোলশূন্য অবস্থায় খেলা চলছিল। তারপরে ৭১ মিনিটের মাথায় বেলঘড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব একটি পেনাল্টি পায়। খড়দহ সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তাদের অভিযোগ, রেফারির ভুল সিদ্ধান্তেই ওই পেনাল্টি পেয়েছে বেলঘরিয়ার ক্লাব।

সেই অভিযোগ তুলে রেফারি চরণ হেমব্রমকে খড়দহ স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলার থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা মাঠে তাড়া করতে শুরু করে। রেফারি পালানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। মাঠের মধ্যেই তাঁকে ফেলে পেটানো হয়। কোনও রকমে সহকর্মী রেফারিরা বাঁচিয়ে নেন।

রেফারি চরণবাবুকে গুরুতর আহত অবস্থায় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নৈহাটি বিধায়ক সনৎ দে। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, “ম্যাচ কমিশনার আমাদের রিপোর্ট দেবেন। তার পরেই ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


Share