khargapur

খড়্গপুরে রাস্তায় ফেলে প্রৌঢ়কে বেধড়ক মারধর, গায় ঢেলে দেওয়া হল রঙ, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূলের এক নেত্রী

সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের খরিদা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় তৃণমূলের নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত প্রৌঢ়।

আক্রান্ত প্রৌঢ় তৃণমূলের নেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দেবব্রত সরকার: খড়্গপুর
  • শেষ আপডেট:০১ জুলাই ২০২৫ ০২:০৩

পাঁচিল ভাঙার প্রতিবাদ করায় প্রৌঢ়কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার খড়্গপুরের মালঞ্চ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের উপস্থিতিতে এক ব্যক্তির বাড়ির পাঁচিল জোর করে ভেঙে ফেলা হচ্ছিল। আর তারই প্রতিবাদ করেছিলেন অনিল দাস নামে এক প্রৌঢ়। অভিযোগ, তাঁকে রাস্তায় ফেলে জুতো দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পরে ওই প্রৌঢ়ের গায়ে রঙ ঢেলে দেওয়া হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

সোমবার খড়্গপুরের খরিদা এলাকায় একটি বাড়ির পাঁচিল ভাঙতে স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে ও তার কিছু অনুগামীকে নিয়ে যান। সেই সময় এলাকার অনিল দাস নামে এক প্রৌঢ় প্রতিবাদ করেন। তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, এর পরই ওই তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে এবং তার দলবল নিয়ে অনিল দাসের ওপর চড়াও হয়।

ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো (এখন কলকাতা ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, প্রৌঢ় অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে জুতোপেটা করছেন। এর পরে নিজেকে বাঁচাতে অনিল দাস সামনে একটি রংয়ের দোকানে ঢুকে পড়েন। সেখানে ঢুকেও তাকে মারধর করে এবং রঙের ডাব্বা তার গায়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।

এরপরে তিনি স্থানীয়দের সাহায্যে খড়্গপুর টাউন থানা যান। অনিল ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। খবর পেয়ে খড়্গপুর সদরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জানিয়েছেন, বেবি কোলে তাদের দলেরই কর্মী। তবে বেবি কোলে এখন কি পদে আছেন তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে বলব, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে।’

যদিও বেবি কোলের দাবি, অনিল দাস চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকারই দুই মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যও করেছেন। এমনকি এলাকার দুই মহিলাকে শ্রীলতাহানির চেষ্টাও করেছেন অনিল দাস। যদিও এই অভিযোগ নিয়েই থানার দ্বারস্থ হননি তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে।


Share