Altercation between TMC Leaders in meeting

ক‍্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের অফিসে অভিষেকের সামনেই বাদানুবাদে জড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ

সোমবার ক‍্যামাক স্ট্রিটে বীরভূমের কোর কমিটি এবং জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুত্রের খবর, ওই বৈঠকে বীরভূমে দলের সংগঠন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

বীরভূমের নেতাদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:২৭

বীরভূমের তৃণমূলের দ্বন্দ্ব এ বার কলকাতার অফিসে। সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই সংঘাতে জড়ালেন বীরভূমের দুই তৃণমূল নেতা কাজল শেখ এবং অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল সুত্রের খবর, সিউড়ি ব্লকের সভাপতি কে হবেন? তা নিয়ে দু’জনে বচসা শুরু হয়ে যায়। বেশ কিছু ক্ষণ চলে বাদানুবাদ। বৈঠকের শেষে কোনও পক্ষই এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

সোমবার ক‍্যামাক স্ট্রিটে বীরভূমের কোর কমিটি এবং জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুত্রের খবর, সেই বৈঠকে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে কেষ্ট মন্ডল এবং কাজল শেখ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূল সুত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, ছয় থেকে সাত মিনিট ধরে সেই বদানুবাদ। তার পরে তাঁরা নিজেরাই থেমে যান। এর পরেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, যে ভাবে এখানে একসঙ্গে বসে রয়েছেন, ‘ছবিটা’ কিন্তু দেখতে ভালো লাগছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এ-এ বলা হয়েছে, “সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করুন, এটাই বীরভূম জেলার মানুষ চায়।”

প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের ১১টি আসনের মধ্যে দশটি জয়লাভ করেছিল ঘাসফুল শিবির। শুধুমাত্র দুবরাজপুরের আসনটি পদ্ম শিবিরের দখলে রয়েছে। তৃণমূল সুত্রের খবর, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ১১টি আসনে মধ‍্যে সবকটি আসনেই যাতে দল জয়লাভ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়াও জেলা তৃণমূলের মধ্যে কোথায় কী খামতি রয়েছে, তা পূরণ করতেও বলা হয়েছে কাজল-কেষ্টদের।

বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়া দলের আরেক নেতা কাজল শেখ বলেন, “বীরভূমের আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তৃণমূল কংগ্রেস একটা বড় পরিবার। একসঙ্গে থাকতে গেলে বাবা-ছেলে, মা-ছেলে, ভাই-বোনের মধ্যে মতপার্থক্য হতেই পারে। সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।” তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে যাঁদের মনোনীত করবেন, তাঁদেরই বিপুল ভোট জয়যুক্ত করে দেখিয়ে দেব বলেও জানিয়েছেন কাজল।

এ দিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সাংগঠনিক কথাবার্তা হয়েছে। সাংগঠনিক কথাবার্তার জন্যই আজ ডাকা হয়েছিল। কোথাও কোনও মতানৈক্য নেই।” তিনি এ-ও বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন একসঙ্গে কাজ করার জন্য। সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন দেখে, উনি খুব খুশি” পুজোর পরে বীরভূমের পরবর্তী কোর কমিটির মিটিং হবে বলেও জানিয়েছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।


Share