BJP Seeks NIA or CBI Investigation

নাগরাকাটা-কান্ডে বাংলাদেশের জঙ্গিযোগ! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর

২০২৬-এর নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রক্তের মূল্য সুদ-সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উসুল করবে বলে হুশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “ওঁরা ওখানে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিলেন। সেখানকার মানুষ তার প্রতিবাদ জানিয়েছে।”

কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি শুভেন্দুর।
বৈশাখী কর্মকার, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৫৯

জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আরেক বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও হেনস্থা করা হয়। সেই ঘটনার নেপথ্যে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়কের প্রহৃত হওয়ার ঘটনা সিবিআই অথবা এনআইএকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সহ-পর্যবেক্ষক বিপ্লবকুমার দেব উত্তরবঙ্গের দুর্যোগকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “যারা কোচবিহারে ঘটিয়েছিল, একই ক‍্যাটেগরির লোকেরা এখানেও ঘটিয়েছে।” শুভেন্দুর অভিযোগ, এদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এটিবি) এবং জামাতের যোগ আছে।” তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই অথবা এনআইএকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে অবসরকালীন বেঞ্চে পুলিশ নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের অনুমতি চাওয়া হবে এবং তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে করানোরও আবেদন জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাটাকায় দুর্যোগকবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেখানে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পাথরের আঘাতে নাক-মুখ ফেটে যায় খগেনের। রক্তে ভেসে যায় পোষাক। সাংসদের চোখের তলায় হাড় ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে লোকসভার স্পিকার। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে জখম সাংসদকে শিলিগুড়ির হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই ঘটনায় সোমবার রাতে নাগরাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। করবেও না। মুখ্যমন্ত্রী খুব খুশি আছেন। উদয়ন গুহকে দু’কাপ চা বেশি খাইয়েছেন।” ২০২১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, “২০২১ সাল থেকে শেষ নাগরাকাটা পর্যন্ত ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিশেষ উগ্রপন্থী বাহিনী শান্তি নস্ট করছে। তাদের গ্রেফতার করার, ঘটনার নিন্দা করার ওঁর কোনও ভাষা আমরা দেখতে পাইনি।” 

এ ছাড়াও, ২০২৬-এর নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রক্তের মূল্য সুদ-সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উসুল করবে বলে হুশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়াই এমন কথা বলে রাজ‍্যকে ছোট করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ওঁরা ওখানে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিলেন। সেখানকার মানুষ তার প্রতিবাদ জানিয়েছে।  উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বদলে রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন তাঁরা।”


Share