Two Held in Alleged Smuggling Gold

ব‍্যাঙ্কক থেকে আনা হচ্ছিল বিদেশি সোনা, রূপো, জাল সিগারেট! বাগডোগরা বিমানবন্দরে গ্রেফতার কালীঘাটের এক বাসিন্দা-সহ দু’জন

ডিআরআইয়ের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে ২৯৮ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ওই সোনার বাজারদর ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৪০ টাকা। এ ছাড়া, ২৩ কেজি ৫০৪ গ্রাম ওজনের দু’টি বিদেশি রুপোর বাট ও গয়না মিলেছে। একই সঙ্গে ৬০ হাজার ৮০০টি সিগারেট মিলেছে।

বাগডোগরা বিমানবন্দর।
নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি
  • শেষ আপডেট:২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:২২

শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিদেশি সোনা, রুপো ও জাল সিগারেট ধরল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর (ডিআরআই)। পাচারের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতরা হল রতনেশকুমার শাহ এবং অমরদীপ সিং কোহলি। বিমানে করে তারা তাইল্যান্ডের ব‍্যাঙ্কক থেকে শিলিগুড়িতে এসেছিল। আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষ জামিন দিয়েছে।

ডিআরআই সুত্রের খবর, রতনেশকুমার শাহ উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার বাসিন্দা। অমরদীপ সিং কোহলির বাড়ি কালীঘাটে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাছে যদি শুল্ক দফতরকে জানানোর মতো কোনও সামগ্রী থেকে থাকে তবে যাত্রীদের ‘লাল লাইন’ দিয়ে আসতে হবে। কাস্টমসের থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার মতো সামগ্রী না থাকলে যাত্রীরা ‘নীল লাইন’ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন। 

বিদেশ থেকে বিমানে করে বিভিন্ন সামগ্রী পাচারের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে আগাম খবর ছিল। সেই মতো শনিবার আগে থেকে গোয়েন্দারা বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। সেখানেই রতনেশ ও অমরদীপকে লাল লাইনের বদলে নীল লাইন দিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। দু’জনের ব্যাগ বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিনে তোলার পর সেগুলির মধ্যে যে সন্দেহজনক বস্তু রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।

এর পরই গোয়েন্দারা দু’জনকেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করে কলেজপাড়ার অফিসে নিয়ে যান। সেখানে ধৃতদের ব্যাগে তল্লাশি করে সমস্ত সামগ্রী মেলে বলে দাবি করেছে ডিআরআই। ডিআরআইয়ের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে ২৯৮ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ওই সোনার বাজারদর ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৪০ টাকা। এ ছাড়া, ২৩ কেজি ৫০৪ গ্রাম ওজনের দু’টি বিদেশি রুপোর বাট ও গয়না মিলেছে। একই সঙ্গে ৬০ হাজার ৮০০টি সিগারেট মিলেছে। 

তদন্তকারীরা আদালতকে জানিয়েছে, সোনার বিস্কুটগুলি থেকে বিদেশি মার্কিং মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। যে পরিমান সিগারেট উদ্ধার হয়েছে, তার প্যাকেটের গায়ে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া' লেখা ছিল। কলকাতায় সেগুলি তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখও করা ছিল। সব মিলিয়ে এই সমস্ত সামগ্রীর দাম ৭৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৩৫ টাকা। সুত্রের খবর, ধৃতরা এর আগেও একই ভাবে বিদেশি সামগ্রী পাচার করেছে। 

ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। বিচারক শর্তসাপেক্ষে ধৃত দু’জনকে জামিন দেন। কাদের হাতে ওই সমস্ত সামগ্রী তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে ধৃতরা বেশ কয়েক জনের নাম জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের জানিয়েছেন বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। 

এই কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) আইনজীবী রতন বণিক বললেন, “উদ্ধার করা সিগারেটগুলি খুবই নিম্নমানের। ভারতীয় একটি সিগারেটের ব্যান্ডের নাম দিয়ে সেগুলি কলকাতার বাজারে বিক্রির ছক কষা হয়েছিল। বেশি লাভ করার জন্য সেগুলি নিয়ে আসা হয়। ধৃতরা আগেও বিমানে বিভিন্ন সামগ্রী পাচার করেছে বলে খবর রয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মূল্য যেহেতু এক কোটি টাকার কম, তাই কাস্টমসের নিয়ম অনুযায়ী আদালত ওই দু’জনেক শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে।”


Share