TMC Leader’s Property Seized

ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার অভিযোগ, নবদ্বীপের তৃণমুল নেতার বাড়ি অধিগ্রহণ করল ব‍্যাঙ্ক

কমল দেবনাথ নবদ্বীপ ব্লকের বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুলের প্রধান। তিনি কো-অপারেটিভ ব‍্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তা পরিশোধ করেননি বলে অভিযোগ।

সিল করা হল তৃণমুল নেতার বাড়ি।
নিজস্ব সংবাদদাতা: নবদ্বীপ
  • শেষ আপডেট:০৬ আগস্ট ২০২৫ ০৬:২৩

নিজস্ব ব্যবসায় জন‍্য ব‍্যাঙ্ক থেকে নিয়েছিলেন লক্ষাধিক টাকা ঋণ। কিন্তু সেই লোন পরিশোধ করেননি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নদিয়ায় নবদ্বীপের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। বুধবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তৃণমুলের নেতার বাড়ি অধিগ্রহণ করে নিল স্থানীয় কো-অপারেটিভ ব‍্যাঙ্ক। সিল করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতার বাড়ি।

অভিযুক্তের নাম কমল দেবনাথ। তিনি নবদ্বীপ ব্লকের বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুলের প্রধান। জানা গিয়েছে, গত ২০২০ সালের ৩ অগস্ট পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন নবদ্বীপ কো-অপারেটিভ ব‍্যাঙ্ক থেকে ‘নিত্যানন্দ টেক্সটাইল’-এর নামে ২২ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। ‘নিত্যানন্দ টেক্সটাইল’ তাঁরই ব‍্যবসা বলে জানা গিয়েছে। ঋণ নেওয়ার জন‍্য তার কিছু সম্পত্তি বন্দক রেখেছিলেন। তার মধ্যে এই বাড়িটি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কো-অপারেটিভ ব‍্যাঙ্কের দাবি, কমল দেবনাথ ঋণের কিস্তির টাকা সময় মতো মেটাননি। বর্তমানে সেই ঋণের পরিমাণ সুদে-আসলে ৩২ লক্ষ টাকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব‍্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঋণ পরিশোধ করার জন্য একাধিকবার তাকে সতর্ক করা হয়েছে। তার পরেও কিস্তির টাকা না দিয়ে তিনি প্রথম থেকেই উদাসীন মনোভাব পোষণ করেছেন। মূলত সেই কারণেই নবদ্বীপ থানার পুলিশের উপস্থিতিতে বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তার বসতবাড়িটি অধিগ্রহণ করে ব‍্যাঙ্ক।

যদিও বুধবার দুপুরে ব‍্যাঙ্ক কর্মী এবং পুলিশ সেখানে গেলে ওই তৃণমুল নেতা বাড়িতে ছিলেন না। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই বাড়িতে থাকেন কমল দেবনাথের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যেরা। পরিবারের দাবি, কমল দেবনাথ কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সুত্রের খবর, ওই তৃণমুল নেতা মাঝে মাঝে পঞ্চায়েত অফিসেও আসেন। বাড়িটি অধিগ্রহণের পর নিয়ম মেনে তার নিলাম করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

বুধবার নবদ্বীপ কো-অপারেটিভ ব‍্যাঙ্কের সম্পাদক ঝন্টুলাল দাস বলেন, “নিজের ব‍্যবসার জন‍্য ঋণ নিয়েছিল। বারবার সতর্ক করা সত্বেও ঋণ পরিশোধ করেননি। আমারা আজ বাড়িটা অধিগ্রহণ করে সিল করে দিয়ে গেলাম।”


Share