Wrong Treatment Allegation

ভুল চিকিৎসা করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ শান্তিপুরে, অভিযুক্ত চিকিৎসক তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা

জানা গিয়েছে, সুজিত বিশ্বাস তার এক চোখ ব‍্যাথা অনুভব করায় চিকিৎসক তৃণমুল নেতা ও চিকিৎসক অরূপ রায়ের কাছে যান।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ অরূপ রায়ের ক্লিনিক।
বিশ্ব বন্দোপাধ্যায়: শান্তিপুর
  • শেষ আপডেট:২৭ জুলাই ২০২৫ ০৪:৪০

ফের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠল। খেসারত হিসেবে একটি চোখের দৃষ্টি হারালেন এক ব‍্যক্তি। নদিয়ার শান্তিপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই অসহায় দরিদ্র ব‍্যক্তির অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারনে তিনি একটি চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক এলাকার তৃণমুলের নেতা। তিনি গাফিলতির কথা অস্বীকার করলেও জেলায় রাজনৈতিক পারদ চড়েছে।

জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের বাগআঁচড়ার ঢাকা পাড়ার বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস তার এক চোখ লাল হয়ে যাওয়ায় ব‍্যাথা অনুভব করেন। চোখের সমস‍্যা নিয়ে চলতি মাসের গত ১৬ জুলাই নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি ক্লিনিকে অরূপ রায় নামে এক চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা করাতে যান। এর পরে চিকিৎসক অরূপ রায় ওই ব্যক্তির চোখের কিছু ওষুধ দেন। অভিযেগ, সেই ওষুধ ব্যবহার করার পর সুরাহা মেলার বদলে চোখে আরও যন্ত্রনা শুরু হয়। এই সম‍স‍্যার কথা ওই চিকিৎসককে জানালে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।

এই পরিস্থিতিতে সুজিত বিশ্বাসের চোখে যন্ত্রনা না কমায় গত ২৪ তারিখ তাঁর পরিবারের লোকেরা শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, ওই ব্যক্তির চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে এ-ও জানান, যন্ত্রনা যদি না কমে তাহলে চোখ তুলে ফেলতে হবে। এর পরই শনিবার রাতে শান্তিপুর থানায় ওই ব্যক্তি ওই চক্ষু চিকিৎসক অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের অভিযুক্ত চিকিৎসক অরূপ রায় তৃণমূল কংগ্রেসের টোটো ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। সেই ক্ষমতাবলে কি বিষয়টি ধামা চাপা দিতে চাইছেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন এলাবাসীরাই। যদিও অরূপ রায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রোগীর গাফিলতিতেই চোখ নষ্ট করেছেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক অরূপ রায়। ঘটনায় চিকিৎসার কোন গাফিলতি হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক অরূপ রায়।

ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, অভিযুক্ত অরূপ রায় শাসকদল পরিচালিত শান্তিপুর টোটো ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। আর সেই রাজনৈতিক পদকে কাজে লাগিয়ে তিনি চক্ষু চিকিৎসক হয়ে গিয়েছেন। অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তাঁরা।

যদিও এই প্রসঙ্গে তৃনমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ে আমরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। তবে দলে থেকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে দল কিন্তু দলের মত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে ওই ডাক্তারের চিকিৎসায় যদি কোনও ভুলভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে তা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক খতিয়ে দেখবেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।


Share