নিজের নিরাপত্তারক্ষীকেই গুলি করার অভিযোগ উঠল নদিয়ার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সাজিজুল হক শাহ ওরফে মিঠু। সাজিজুল নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।?
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় ছিল সাজিজুল হক ওরফে মিঠু। এর পরেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। গালিগালাজ করে নিরাপত্তারক্ষীকেও। অনেক রাত পর্যন্ত বচসা হয় বলে দাবি। অভিযোগ, বচসা চরমে উঠলে সাজিজুল নিজেরই নিরাপত্তারক্ষী জাহাঙ্গির আলমকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলি গিয়ে লাগে ঘরের দরজায়। কোনক্রমে প্রানে বেঁচে সেখান থেকে পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর আলম। জানা গিয়েছে, জগাঙ্গির রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত।?
এর পরই সাজিজুলের নিরাপত্তারক্ষী কনস্টেবল থানার দ্বারস্থ হন। ঘটনাস্থলে আসে থানারপাড়া থানার পুলিশ। সাজিজুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সাজিজুলের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগেও সাজিজুল নিজের দেহরক্ষীর ওপর এ ভাবেই আক্রমণ করেছিলেন। আজ, সোমবার সাজিজুলকে তেহট্ট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।?
এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বলেন, “তৃণমূল নেতারা গুলি চালাবে না বা পুলিশের ওপর আক্রমণ করবে না, এটা হয় নাকি। তৃণমূল কংগ্রেসের কাজই পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা তৈরি করা।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা গুলি চালাবে এটাই স্বাভাবিক। যে তৃণমূল নেতা দেহরক্ষী ছাড়া বাইরে বেরোতে পারে না, সেই তার দেহরক্ষীকে লক্ষ করে গুলি চালালো! এই ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।” জানা গিয়েছে, খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত সাজিজুল প্রাক্তন মাওবাদী নেতা। এলাকায় বালি-মাটি পাচার এই সাজিজুল ওরফে মিঠুর মাধ্যমেই হয় বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী শিবির।?
যদিও কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূলের মুখপত্র দেবাশিস রায় বলেন, “পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই নিয়ে খোঁজ খবর না নিয়ে মন্তব্য সমীচীন নয়।”?
Share